সাংবাদিক হরেন্দ্রনাথের সংবাদ কেউ লেখেনা-যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়! বেলা কাটে অবেলায়

Share Now..

মিঠু মালিথা:

পরের ভানা ভেনে মরি-নিজ ঘরে নাই খোরাকি-সত্যিই তাই!বাড়ী খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোদের মধ্যে তিনিও একজন।ঘটে যাওয়া-সবকিছুর সংবাদ লেখেন সাংবাদিক হরেন কিন্তু তার সংবাদ কেউই লেখেনা।বড় সাংবাদিক বলে তার কোন যশ কিম্বা খ্যাতি নেই।তবে সাংবাদিতার প্রতি তার প্রবল ঝোক আর অবিচল আস্তা।১৯৯৯সালে এ মানুষটার সাথে আমার প্রথম পরিচয়।তখনও আমি দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় কাজ করতাম।আর দাদা এখনও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় কাজ করেন।বাড়ী কালীগঞ্জ শহর থেকে-৬কিঃমিঃদুরে।সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের ছোট সিমলা গ্রামে।নিম্নমধ্যবৃত্ত পরিবারে জন্ম সাংবাদিক হরেন্দ্রনাথ সূত্রাধরের।বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই।মা বেঁচে আছেন কিন্তু চোখে ভালো দেখতে পায়না।এক দাদা ছিলেন তিনিও পাড়ি দিয়েছেন পরপারে।দাদা রেখে গেছেন দুই কন্যা আর এক স্ত্রী।সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হরেন একাই।

যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়!তার উপর-০৫ সদস্যের নির্ভরতা।কেমন আছেন সাংবাদিক  হরেন?জোতজমি বলতে বাবার রেখে যাওয়া এই ভিটামাটি আর মাটান কয়েক কাটা জমি।তাতে কি আর পেট চলে?মাঝে মাঝে কামলা খাটেন অন্যের দারে।পাশাপাশি পশু চিকিৎসার ডাক্তারি করেন হরেন।বেঁচে থাকার কতইনা প্রচেষ্টা সাংবাদিক হরেন্দ্রনাথ সূত্রাধরের।করোনাকালীন সময়ে বড্ড বিপাকে সাংবাদিক হরেন্দ্রনাথ সূত্রাধরের পরিবার।আর বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যেতে পারে মাথা গোজার ঠাইটুকু!আমরা সাংবাদিকরা কি পারিনা সহযোদ্ধা সাংবাদিক হরেনের পাশে থাকতে।বেঁচে থাকতে মাথা গোজার ঠাইটুকু করে দিতে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *