সাইনাসের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন?
সাইনোসাইটিস হলো সাইনাস এর মধ্যে প্রদাহ বা ঘা জনিত সমস্যা। নাক ও চোখের চারপাশে হাড়ের ভেতরে কিছু বায়ুকোষ বা কুঠুরিকে সাইনাস বলা হয়। নাকের ও সাইনাসগুলোর আবরণী একই এবং সাইনাসগুলো নাকের আবরণীর সম্প্রসারিত অংশ দিয়ে আবৃত। এজন্য নাকে কোনো প্রদাহ হলে একই সমস্যায় সাধারণত সাইনাসও আক্রান্ত হয় এবং নাক ও সাইনাসের সমস্যাগুলো মূলত পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ঠান্ডাজনিত কারণ অথবা ধুলাবালি এবং কতিপয় কিছু কেমিক্যাল পদার্থ নাক দিয়ে প্রবেশ করে সাইনাসের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং তীব্র ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি এবং সর্দি শুরু হয়। সাধারণত শীত ও শুকনো মৌসুমে সাইনোসাইটিস বেড়ে যায়। প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক এই অসুস্থতায় সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করাই ভোগেন বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বার্ষিক শতকরা ১৪ ভাগ মানুষ ভুগছেন এই ক্রনিক সাইনোসাইটিসে।
উপসর্গ
মাথাব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা
• চোখের নিচে , চোয়ালের পাশে আর নাকের চারপাশে ব্যথা
• সর্দি কাশি, নাক বন্ধ হয়ে থাকা
• নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া
• ঘন ঘন হাঁচি
• হালকা জ্বর থাকা
• শ্বাসকষ্ট। ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা স্লিপ এপনিয়া সিন্ড্রোম প্রকট হওয়া।
প্রতিকার
ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার না করা। যেসব গৃহপালিত পশুর গায়ে লোম আছে তাদের এড়িয়ে চলা। সাইনোসাইটিসের ব্যথায় গরম পানির ভাপ নিলে আরাম পাওয়া যায়। যথাসম্ভব উষ্ণ পরিবেশে থাকা এবং বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা। ক্রনিক সাইনোসাইটিসে চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে পরামর্শ দেন। এন্টিহিস্টামিন যেগুলো নিদ্রাকারক সেগুলো সেবন করা যেতে পারে। ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করা ভালো, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। সাইনোসাইটিস এর প্রতিকারে ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া সুস্থ থাকার কোনো উপায় নেই।