সাকিব-শান্তর পাশে দাঁড়ালেন হৃদয়

Share Now..

গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ওভারের ব্যবধানে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একই শট করতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দলকে চাপের মুখে ফেলেন তারা। প্রোটিয়া পেসার আনরিখ নরকিয়ার নট বলে পুল শট খেলতে নিয়ে এইডেন মার্করামের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমন শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা অনেকের চোখে দৃষ্টিকটু। কেননা লো স্কোরিং এই ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। 

তাই এই দুই ব্যাটারকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে তো প্রশ্ন তুলেছে এই দুই জনের যোগ্যতা নিয়েও। তবে টাইগার ব্যাটার হৃদয়ের মতে সাকিব-শান্তর শট ভালো ছিল। শুধু তাই নয় এই ম্যাচে যে বলে আউট হয়েছে পরবর্তীতে নরকিয়ার বিপক্ষে খেললে এমন বলেই চার ছয় হবে বলে বিশ্বাস করেন হৃদয়।

পরশু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ নিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো শট ছিল। কারণ বেশির ভাগ বল সে (নরকিয়া) ব্যাক অব লেন থেকে করে। তো ওর বলে শট করতে গেলে পুল কিংবা পেস ব্যবহার করে করতে হবে। তো সেগুলো বাস্তবায়ন এ ম্যাচে ঠিক হয়নি। তো আমার মনে হয় পরবর্তীতে যখন তার বিপক্ষে খেলবে ঐটাই এই ম্যাচে যেটা আউট হয়েছে সেটা ছয় বা চার হবে।’

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় রানের ইনিংস খুব বেশি একটা দেখা যাচ্ছে না। আর যদি কয়েকটা হয়ও তার বেশির ভাগই দেখা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যুক্তরাষ্ট্রে খুব বেশি দেখা যায় না। বিশেষ করে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তো ব্যাটাররা তো এ মাঠে তাদের রূপ দেখাতেই পারেন না। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে বাংলাদেশের ভাবনা অন্য দিকে। কেননা আসর শুরুর আগ থেকেই দলের ব্যাটাররা ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যর্থতার বৃত্তে। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা পাচ্ছে না রান। 

তবে হৃদয় মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দুই তিন জনের খেলা সবার রান না করলেও হবে আর খুব দ্রুতই ব্যাটাররা ঘুরে দাঁড়াবে। বলেন, ‘হ্যা, ব্যাটাররা রান করছে না। প্রতিটা ম্যাচেই সবাই রান করে না। এক জন, দুই জন, তিন জনই খেলে। টি-টোয়েন্টি ছোট ফরম্যাটের খেলা এখানে ১১ জনই খেলে না দুই-তিন জন খেলে। তো আমাদের ব্যাটাররা রান করছে না। সামনের ম্যাচগুলোতে রান করবে এবং আশা করি যে এটা থেকে খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াব।’

এদিকে দলের সবাই যেখানে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সেখানে রানের মধ্যে রয়েছেন আসরে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ মিলিয়ে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হৃদয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তিনি খেলেন ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংস। তার ঐ ইনিংসেই বাংলাদেশ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছায়। আর পরশু প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তো কঠিন উইকেটেও রানের মধ্যেই ছিলেন তিনি। 

এ হৃদয় প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করি আমার লক্ষ্যই থাকে উদ্দেশ্যসহকারে ব্যাটিং করব। রানের খেলা মাথায় পরিকল্পনা করা থাকে কীভাবে রান করব পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন। হ্যা কিছু সময় কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হই তবে ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী চেষ্টা করি যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য। আর এই উইকেটে অনেক বড় বড় ব্যাটারও রান করতে পারেনি বা রান করছে না অথবা স্ট্রাইকরেট অনেক ভালো এমন কেউ এখানে নেই আমার দেখা মতে। তো এই উইকেটটা তুলনা একটু কঠিন উইকেট এখানে যেভাবে আমরা ব্যাটিং করেছি শুরুটা ঠিকঠাকই ছিল মাঝেও ভালো ছিল শুধু শেষটা ভালো করতে পারিনি। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে ঐ জায়গায় যদি আমি খেলতাম কিংবা খেলতে পারতাম হয়তো বা দৃশ্যটা আলাদা হতো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *