সামাজিক সংগঠনের নামে ব্যক্তির অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ 

Share Now..

সামাজিক সংগঠনের নামে ব্যক্তির অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঝিনাইদহে শৈলকুপায় “আঞ্চলিক কথা কওয়া গোষ্ঠী” নামে একটি সামাজিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটি প্রথম থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা  মূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হতদরিদ্রদের সাহায্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত সংগঠনটি দিয়েছেন। এই সংগঠনে প্রবাসী ও বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা আর্থিক সহযোগিতা করে  এবং সামাজিক কাজের পাশাপাশি সংগঠনটি শৈলকুপার আঞ্চলিক ভাষাকে সমৃদ্ধশালী করার প্রয়াসে কাজ করে চলছিল। কিন্তু বিগত কয়েক মাস আগে সংগঠনটি থেকে সংগঠনের একটি অংশ বেরিয়ে যায় এবং কারণ হিসেবে তারা  দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে সংগঠনের একজন কনিষ্ঠ সাবেক সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেদককে জানিয়েছে, সংগঠনটি প্রথম থেকে তাদের যে নীতি বা নৈতিকতা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এখন ঠিক সেই নীতি নৈতিকতার বিপরীতভাবে কাজ করছে। তারা সামাজিক সংগঠনের সাইনবোর্ডে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টায় আছে,শুধু তাই নয় সংগঠন এখন সাধারণ মানুষের পাশে না দাড়িয়ে নিজেদেরকে নিয়েই  নিজেদের পকেট ভারি করতেই তারা ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রবাসী ও বড় ডোনারদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় হয় এই আয় ব্যয়ের হিসাব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এডমিট গোলাম ফারুক  খন্দকার সহ কয়েকজনের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে যা বাইরে কোনো সদস্য বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয় না। কারণ যদি কাউকে সাহায্য করার কথা বলে টাকা কালেকশন করা হয় ৫০ হাজার সেই পরিবার বা ব্যক্তিকে ২০ হাজার দেওয়া হয় আর বাকিটা এই কয়জন ভাগ করে নেয়। এ বিষয়ে গোলাম ফারুকের কাছে হিসাব চাইতে গেলে তিনি বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন হুমকি  দেয় এ কারণেই আমরা সংগঠন থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে আরো এক প্রবাসী বলেন,মানবতার কাজে অর্থ ব্যয় না করে সংগঠনের কিছু কতিপয় ব্যক্তি মানবতার টাকা দিয়ে আড্ডায়,পিকনিকে খরচ করে।  সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে টোটাল টাকা কালেকশন হয়েছে ২,৬১,৫০০টাকা আর ব‍্যয় হয়েছে ২,৫১,৩৯৫ টাকা। তাহলে এবার প্রশ্ন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‍্যালিতে সবাইকে একটি করে গেঞ্জি দেয়া হয়েছে খাবার মেনুতে সবাইকে এক প্যাকেট করে বিরানি মঞ্চ করে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়েছিল এখানে শিল্পী বাইরের থেকে কেউই আগত ছিল না সবাই স্থানীয় লোকাল শিল্পী ছিল আর আর একটি দরিদ্র ফ্যামিলিকে বিশ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিল এইগুলোতে কি খরচ হয়ে গেল ২,৫১,৩৯৫ টাকা। সেটিও হতে পারে তাতেও প্রবলেম নাই কিন্তু আমাদের কথা একটা সামাজিক সংগঠন মানবিক সংগঠন আর এই মানবিক সংগঠনের নামে এত টাকা খরচ করে কেন আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী করব এটি না করে তো সংগঠনটি ২০ টা ফ্যামিলিকে সাহায্য করতে পারত।

সংগঠনের গোলাম ফারুক খন্দকার তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ জানার পর তার সম্পর্কে অনুসন্ধানে নামলে জানা যায়,তিনি এক সময় বিএনপি জামাতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিল।তার বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই নারী ঘটিত কেলেঙ্কারি যা শৈলকুপার অনেক মানুষেরই জানা। তিনি বিএনপির সময় শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী পান।  আর এরপর থেকেই তার শিক্ষকতা মুখোশে চালিয়ে যাচ্ছে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তাকে থামানোর মত কেউ নেই। ভদ্রতার বেসে ভয়ংকর রূপে ব্যস্ত স্বার্থ হাসিলের।অভিযোগে আরো জানা যায় শৈলকুপার ঐতিহ্যবাহী শৈলকূপা শিল্পকলা একাডেমি ভাঙ্গনের মূল কারণ এই গোলাম ফারুক,আরো জানা যায়,তিনি এখন যে শৈলবালা  সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এই সংগঠনটিও একসময় বিভিন্ন ছলচাতুরি করে হাতিয়ে নিয়েছিল সংগঠনের প্রকৃত পরিচালক ছিল প্রফেসর শেলী আক্তার। অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, প্রত্যেকদিন এই সংগঠনের কার্যালয়ে গোলাম ফারুকের মাদকের আড্ডা চলে। শৈলকুপার এমন কোন সেক্টর নেই যে সেক্টরে গোলাম ফারুকের ক্ষমতার প্রভাব পড়েনি। তিনি শুধু বাইরে নয় তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক ছাত্রদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে ছাত্রদেরকে বিভিন্ন নোংরা ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি দেয় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে দেখে নেবে।

গোলাম ফারুক খন্দকারের বিষয়ে অনেকেই বলে এখন, একসময় বিএনপি জামাতের ক্যাডার হয়ে এখনো কিভাবে তিনি মুকুটহীন সাম্রাজ্যের সম্রাট হয়ে বসে আছে।এখানে আওয়ামী লীগের কিছু লোকদের সঙ্গে খাতির জমিয়ে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে এই গোলাম ফারুক খন্দকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *