সালমানকে হত্যা করতে ২৫ লাখ টাকার চুক্তি
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার উদ্দেশে মাস কয়েক আগেই অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামী গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর এক আসামী আত্মহত্যা করেন। এমন পরিস্থিতিতে হাল ছাড়েনি মুম্বাই পুলিশ। চালিয়ে গেছেন তদন্ত। এবার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সন্ত্রাসী দল বিষ্ণোই গ্যাং সালমান হত্যার ব্লু প্রিন্টের পরিকল্পনা সফলের জন্য ২৫ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট করেছিলো।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ৫ জন অভিযুক্তের নামে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি নতুন চার্জশিট পেশ করা হয়। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে এলো আরও নতুন তথ্য।
মুম্বাইয়ের পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে অভিযুক্তরা সবাই-ই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই চার্জশিটে জানানো হয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষে অভিযুক্তদের একটি ২৫ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা সালমান খানকে হত্যা করেন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে পাকিস্তান থেকে এই গ্যাং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আনিয়েছে এবং আরও আনানোর প্ল্যান করেছিল যার মধ্যে ছিল একে ৪৭, একে ৯২, এম ১৬ রাইফেল, তুরস্কের বিখ্যাত জিগানা পিস্তল, ইত্যাদি।
এই জিগানা পিস্তল দিয়েই ২০২২ সালের ২৯ মে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুজওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছিল।
এ ষড়যন্ত্রে যে কেবল অস্ত্র আনানো হয়েছিল সেটাই নয়, রীতিমত নজরদারি চালানো হয়েছিল অভিনেতার উপর। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল যাতে তারা সালমান খানের চলাফেরার উপর নজর রাখতে পারেন।
ভাইজানের মুম্বাইয়ের পানভেলের ফার্মহাউজ থেকে শুরু করে গুরুগ্রামের ফিল্ম সিটি, বা তিনি যেখানে যেখানে নিয়মিত শ্যুটিংয়ে যেতেন সেসব জায়গায় তাকে অনুসরণ করত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লোকজন।
এছাড়া এই চার্জশিটে জানানো হয়েছে সালমানকে মারার জন্য ১৮ বছরের নিচের কিশোরদের নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা অপেক্ষা করছিল কবে তারা গোল্ডি ব্রার বা আনমোল বিষ্ণোইয়ের থেকে হত্যা করার হুকুম পাবে তার।