সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন কৃষকরা
যাদের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় যারা কাজ করছে সেই কৃষককে প্রথম বারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষকের পাশাপাশি কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, বাণিজ্যিক কৃষিখামার স্নাপনকারী, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষি সংগঠকদেরও এ সম্মাননা দেওয়া হবে। এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন। আগামী ২৭ জুলাই এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষিকাজে উত্সাহ দিতে এ সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং বন উৎখাতের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর এ সম্মাননা দেওয়া হবে। প্রতি বছর মোট পাঁচটি বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫ জনকে এ সম্মাননা দেওয়া হবে। বিভাগগুলো হলো, কৃষি উদ্ভাবন, কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এ সম্মাননা পাবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত অথবা অন্য কোনো কারণে অবাঞ্ছিত বিবেচিত ব্যক্তি এআইপি হওয়ার যোগ্য হবেন না। তবে সাজা ভোগ করার পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আবেদনকারী ঋণখেলাপি থাকলে নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হবেন না।
প্রতি বছর কৃষি মন্ত্রণালয় চারটি কমিটির মাধ্যমে এআইপি নির্বাচন করবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে ‘উপজেলা কমিটি’, স্থানীয় সরকার পরিষদের (তিনটি পার্বত্য জেলার জন্য) চেয়ারম্যান ও বাকি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ‘জেলা কমিটি’ কাজ করবে। ‘প্রাথমিক বাছাই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করবেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব। আর ‘চূড়ান্ত বাছাই কমিটিতে সভাপতিত্ব করবেন কৃষি সচিব। এআইপি কার্ডধারীরা কি ধরনের সুযোগসুবিধা পাবেন এ প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, একজন সিআইপি কার্ডধারী যেসব সুযোগসুবিধা পান, এআইপি কার্ডধারীরাও তাই পাবেন।