সিপিটিপিপি-তে চীন যোগ দেওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভারসাম্য হারাবে

Share Now..

কম্প্রিহেনসিভ এন্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশীপে (সিপিটিপিপি) চীনের যোগদানের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষমতায় ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই চুক্তিতে প্রবেশের কারণে চারগুণ অর্থনৈতিক মুনাফা হবে বেইজিংয়ের।

হংকং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিপিটিপিপি-তে চীনের যোগদান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাজারে একঘরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া নিরাপত্তা ইস্যুতেও সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গেছে বেইজিং। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র যে অকাস চুক্তি করেছে তাতে অনেক বেকায়দায় পড়েছিলো চীন। কিন্তু সিপিটিপিপি-তে যোগদানের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও শক্তিশালী অবস্থানে চলে গেছে দেশটি।

খবরে আরও বলা, মূলত অকাস চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই সিপিটিপিপি-তে যোগ দিয়েছে চীন। যাতে করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব সহজেই বিস্তার করতে পারে দেশটি।

চীন ক্রমশই শক্তিশালী হয়ে ওঠার কারণে তারা প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম নৌ বাহিনী গড়ে তুলেছে চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ অঞ্চলে দেশটি ক্রমশই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, এই দুটো শক্তির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এতদিন কোনো একটির পক্ষে অবস্থান নেয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের প্রতি দেশটির মনোভাব কঠোর হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ, চীন তাদের দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলা পরিচালনা করছে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে অস্ট্রেলিয়া গত বছর তদন্তের আহ্বান জানানোর পর দুটো দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানির ওপর চীন আকস্মিকভাবে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *