সিরাজগঞ্জে ২ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি 

Share Now..

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত কয়েক দিন সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহর ও কাজিপুর উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীর পানিও বেড়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ৪০০ হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমি। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে চলছে তীব্র ভাঙন।  

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৪৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৩৯ মিটার। 

জানা গেছে, যমুনায় পানি বেড়ে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এদিকে শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি এলাকায় একশরও বেশি বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। 

তিনি জানান, জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
  
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানি উঠে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা, মরিচ ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
  
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *