সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া ধরা বন্ধ বিপাকে জেলেরা
\ কয়রা প্রতিনিধি \
প্রজন্ম সময়বলে দুমাস কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ করছে বন বিভাগ। জানা গেছে ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৯ ফেব্রæয়ারী ৫৯ দিন পর্যন্ত কাঁকড়া ধরা বন্ধে চরম বিপাকে কাঁকড়া ধরা জেলেরা। ২৯ জানুয়ারি কয়রা উপজেলা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের রতনা ঘের গ্রামের কাঁকড়া ধরা জেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন প্রতি বছর দুই মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা বন্ধ করে সরকার। চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের বর্তমান সবজি ছাড়া আর সব জিনিসের দাম বেশি তা কিনে খেতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি। আমার একার ইনকামে ৭ জনের সংসার চলে ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার খরচ যোগাতে হয়। দুই মাস কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকলেও সরকার কর্তৃক কোনো প্রকার সাহায্য- সহযোগিতা করেনা। কাটকাটা গ্রামের কাঁকড়া ধরা জেলে রুহিত মন্ডল বলেন সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে।পাশ-পারমিট খোলা ছিলো ঠিক মতো সুন্দরবন কাঁকড়া ধরতে যেতাম প্রতিদিন ৫০০/৬০০ টাকা ইনকাম হতো তা দিয়ে ভালো ভাবে সংসার চলত।সেই ইনকাম না হওয়ায় আমার ৫ জনের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে আগের মতো খেতে পারে না আমার পরিবার। আর এক জেলে প্রদীপ মুন্ডা বলেন সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি ২ মাস কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ছি। আমার সংসারে ৫ জন সদস্য আমার উপার্জনের উপর চলে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বন বিভাগ সুত্র থেকে জানা গেছে সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে এই সময় প্রায় ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া ডিম ছাড়ে তাই এই প্রজন্ম সময়টা সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন আমাদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে সুন্দরবন উপক‚ল অঞ্চলেও টহল কার্যক্রম আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটা টহল ফাঁড়ি নিয়মিত টহল দিচ্ছে।