স্বল্প টার্গেট পেয়েও কুমিল্লার কষ্টার্জিত জয়
প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট সানরাইজার্স। তখন সবাই ধারণা করেছিল, সহজেই ম্যাচটি জিতে যাবে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু এত স্বল্প লক্ষ্যমাত্রা পেয়েও বেশ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে কুমিল্লাকে। শেষ পর্যন্ত ৮ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে তারা।
সিলেটের বোলারদের প্রশংসা করতেই হবে। এত কম রানের পুঁজি নিয়েও যে লড়াই করা যায়, তা তারা করে দেখালো। শেষ দিকে তো মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি কুমিল্লার হাত থেকে ফঁসকে যাচ্ছে। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লাকে চেপে ধরেন তাসকিন-সোহাগ গাজীরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।
কুমিল্লা শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন সোহাগ গাজী। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোকা বনে যান প্রোটিয়া তারকা ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি। বল ব্যাটে লেগে ক্যাচ ওঠে যায় এবং সেটি ধরেন সোহাগ গাজী নিজেই। দলীয় ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পতনের পর মুমিনুল হককে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অপর ওপেনার ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। কিন্তু তিনিও বেশিদূর আগাতে পারলেন না। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৬ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার। এবারও উইকেটশিকারি সোহাগ গাজী। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
শেষদিকে নাজমুল অপুর স্পিন ভেলকিতে কুমিল্লার ড্রেসিং রুম ও সমর্থকদের মাঝে ভয় ধরে গিয়েছিল। জয়ের জন্য যখন আর মাত্র ১৪ রান দরকার এবং হাতে ৫ উইকেট ঠিক তখনই একে একে তিনটি উইকেট পড়ে যায় কুমিল্লার। ৮২, ৮৪ ও ৮৮ রানের মাথায় উইকেটগুলো পড়ে। তবে বিপদ আর বাড়াতে দেননি মাহিদুল ইসলাম অংকন ও তানভীর ইসলাম। তারা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছেন করিম জানাত।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন নাজমুল অপু। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী ও মোসাদ্দেক হোসেন এবং একটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।