হকিতে জার্মানির খেলোয়াড় আনবে মোহামেডান
মোহামেডানের ডেরা ছেড়ে আবাহনীতে চলে গেছেন আশরাফুল ইসলাম। ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে মোহামেডানের জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। মোহামেডানও আরও ভালো মানের খেলোয়াড় এনে এবারের হকি মৌসুমে শক্তিশালী দল গঠন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া কথা বলেছে। পাকিস্তানি খেলোয়াড় আনতে গিয়ে সমস্যা হয়। অস্ট্রেলিয়া কিংবা জার্মানির সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন মোহামেডানের হকি কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রিন্স। জার্মানির চার খেলোয়াড় সঙ্গে কোচ আসতে পারেন। কোচ আনার জন্য কথাও বলেছেন হকির সাবেক এই তারকা প্রিন্স।
বিদেশি খেলোয়াড় আর দেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে সমন্বয় গতে তুলতে পারলে হকির শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে মোহামেডান এবার সফল হবে মনে করছে তারা। আপাতত কোচ শহিদুল্লাহ টিটু। মওদুদুর রহমান শুভ ডাক্তার দেখাতে ভারতে গিয়েছিলেন। তার ব্রেনে টিউমার ধরা পড়েছে। অস্ত্রপচার করার জন্য ভারতে গেলেও তাকে ফিরে আসতে হচ্ছে। ডাক্তার আরও তিন মাস পর যেতে বলেছে। এই অবস্থায় শুভ কাজ করতে পারবেন কিনা সেটা নিশ্চিত না। তাই শহিদুল্লাহ টিটু থাকছেন ইউরোপীয়ান কোচ না আসা পর্যন্ত।
গতকাল হকির দলবদলের শেষ দিনে মোহামেডান খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। মোহামেডানের থেকে গেছেন রাসেল মাহমুদ জিমি, সারোয়ার হোসেন, খালেদ মাহমুদ রাকিন, আমিরুল। আবাহনী থেকে এসেছেন শফিউল আলম শিশির, গোলরক্ষক নুরুজ্জামান নয়ন, সোনালী ব্যাংকের আল নাহিয়ান শুভ, শহিদুল হক সৈকত, বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ের দ্বীন ইসলাম ইমন, আজাদ স্পোর্টিংয়ের শিমুল ইসলাম, বিকেএসপির মেহেদি হাসান অভি, তানভীর রহমান সিয়াম হাসান, বিমান বাহিনীর আশরাফুল আলম, সেনাবাহিনীর মনোজ বাবু এবং অ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক আশরাফুল হক সাদ। ১৫ জন ছাড়াও ইউরোপীয়ান খেলোয়াড়রা দলের মূল শক্তি বলে মনে করছে মোহামেডান।
হকি নিয়ে খুব চিন্তিত দেশের তারকা খেলোয়াড় জিমি। এবারের দল বদলে অনেক খেলোয়াড়ই ক্লাব পাননি। কারণ একাধিক ক্লাব দল গড়েনি। জিমি একাধিক খেলোয়াড়কে ক্লাব পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হকি খেলাটা এমন ভাবে হচ্ছে কোনো ধারাবাহিকতা নেই। একবার লিগ হলে পরের বছর হবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। জিমি বললেন, ‘শরীর ফিট রাখার চেয়ে মানসিকভাবে ফিট থাকি, আগামী বার কবে খেলা হবে তার কোনো ঠিক নেই। খেলা যদি না হয় ফিটনেস দেখাবে কীভাবে।’