হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহে দিনে এক হাজার কাপ চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী শিমুল
\ ঝিনাইদহ অফিস \
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহে কলেজ মোড়ে প্রতিদিন এক হাজার কাপ চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শিমুল। প্রতিদিন চা বিক্রয় হয় গড়ে দিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চা। শিমুল চা বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। ১৮ বছর বয়সি শিমুল চা বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন।
সরেজমিনে শিমুলের চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, চা বিক্রির সরগরম চলছে। দোকানে পাওয়া যায় ভিন্ন স্বাদের দুধ চা, পান করতে প্রতিনিয়ত তার চায়ের দোকানে আসেন ভোক্তা সাধারণ। উপজেলার জোড়াদহ কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে শিমুলের দোকান। ৭ বছর ধরে চা বিক্রি করছেন। সারাদিন চা-প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে দোকানে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন চা খেতে এসে ভিড় জমায়।
চা খেতে আসা বিভিন্ন খরিদ্দারদের সাথে কথা বলে জানাযায়, শিমুলের চা মান সম্মত। তাই তার দোকানে চা খেতে আসি। আমরা উপজেলার বাইরে থেকেও চা খেতে আসি। আবার শিমুলের ব্যবহারও ভালো।
চা বিক্রেতা শিমুল বলেন, তার দোকানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে হাজার দর্শনার্থি চা খেতে আসেন। এমনকি কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ^বিদালয় থানার ঝাউদিয়া এলাকা থেকে চা-প্রেমীকরা আসেন। সে হিসাবে দিনে ১৫থেকে ২০ হাজার টাকা চা বিক্রি হয়। প্রতি কাপ চা ২০ টাকা করে বিক্রি করি। দোকানে চা খেয়ে ক্রেতাদের কোন সমস্যা হয় না। এখন পর্যন্ত কোন খরিদ্দারের অভিযোগ পাননি শিমুল। চা বিক্রি বেশি হওয়ায় লাভ ভালো হয়। সব মিলিয়ে পরিশ্রম করে ভালোভাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করছি। লেখাপড়া বেশি দূর না করলেও দিনরাত পরিশ্রম করে নিজেই গড়েছেন নিজের ভাগ্য।
শিমুল আরো বলেন, অনেক বেকার যুবক তার কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আসে। তিনি তাদের সঠিক পরামর্শ দিই। আমি ওই সব চা দোকানদারদের চা তৈরীর পদ্ধতি শিখিয়েছি। তিনি বলেন সবাই কাজ করে চলুক। বসে না থেকে যেকোনো কাজ করে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।