হরিনাকুণ্ডুতে ফসলী জমি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রয়

Share Now..

হরিনাকুণ্ডু প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার
তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়ণকান্দি গ্রামের ফসলী জমি নষ্ট করে দিনের পর দিন বারংবার প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চটকাবাড়িয়া গ্রামের বালু-খেকো লাল অবৈধ ভাবে বালু উত্তালণ করে চলেছে বলে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে প্রমানিত হয়েছে ঘটনার সত্যতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায়, নারায়ণ কান্দি গ্রামে ফসলি জমি থেকে নিয়মিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যা নারায়ণকান্দি গ্রামের ফসলী জমি হুমকীর মুখে পতিত হয়ওার পাশাপাশি ঐ এলাকায় বসবাস-রত জনগোষ্ঠী সকল সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় কর্মকান্ডে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় বালু খেকো লাল ও আকতার মেম্বার এরা সন্মিলিতভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ লোক তো দুরের কথা, প্রশাসনও কোন কোন সময় এদের বাধা দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
ব্যাপারে বালু উত্তালনকারি চটকাবাড়িয়ার গ্রামের প্রভাবশালী বালু খেকো লাল জানান,আমরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম,হঠাৎ জানতে পারলাম ভবানীপুর বাজার হতে নতীডাঙ্গা,ভেড়াখালী গ্রামের রাস্তা
ভরাটের জন্য ০.৫ বালি লাগবে। উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন এর নির্দেশনায় আজ তিনদিন ধরে আমি বালু উত্তোলন করছি।আমার কি খমতা, ঝিনাইদহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ হরিণাকুণ্ডু নেতারা বালির বিষয় উত্থাপন করেছিলো তার পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান এর কথায় বালু উত্তোলন ও বিক্রয় চালিয়ে যাচ্ছি। লাল আরোও জানায় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছে তোমার রাস্তায় বালি দেওয়ার দরকার বালি দেও, কেউ এসে ঝামেলা করলে আমার কথা বলবা।
এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন এর সাঠে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন লালের কথা সত্য নয়, ওরা বলছিলো বালির অভাবে রাস্তা ঘাট নির্মাণ বন্ধের পথে, এলাকায় সমস্যা হচ্ছে তিনি হেসে বলেন লালের কথা একদম ঠিক নয়, আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব বলে ওদের জানিয়েছি।
এ ব্যপারে এলাকার কৃষক, ব্যবসায়ী,ছাত্র, শিক্ষক, আভিভাবক সহ সকল শ্রেণীপেষার মানুষ একত্রিত হয়ে ইতিপূর্বে বুলু উত্তোলন বন্ধে মানববন্ধন করেও ঠেকাতে পারেনি বালু খেকোদের রমরমা ব্যবসা।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজুর রাশেদ এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন বালু যেই উত্তোলন করুক তাকে ঠেকাতে হবে, মোট কথা জনসাধারণের অসুবিধা করে কোন কাজ করা যাবে না, মোট কথা বুলু উওোলন বন্ধ করে ফসলী জমিকে আবাদের আওতায় আনতে হবে।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা,ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম,ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম,হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা, সহকারী কমিশনার(ভূমি) সেলিম আহমেদ সহ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লার কাছে এলাকার মানুষদের আবেদন ফসলী জমিতে আবাদ বন্ধকরে জননিরাপত্তা বিঘ্নীত করে বালি উত্তোলন বন্ধে আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *