হাইটেক পার্কের আওতায় চাকুরী হারালো ২০ যুবক, হতাশায় পরিবার
\ সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি \
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জন তরুন, যুবক চাকুরী হারিয়ে হতাশায় ভুগছে। কি কারনে, কোন বিবেচনায় তাদের স্ব স্ব পদ থেকে মৌখিক নির্দেশনায় সরানো হলো তা জানেন না কেউ। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের গত ১ লা ফেব্রæয়ারি থেকে অফিসে না আসার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। এদিকে চাকুরী হারানো প্রার্থীরা লিখিত কোনো চিঠি না পেয়ে মৌখিক নির্দেশনায় কি কারনে বাদ দেয়া হলো তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং পরিবার, পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পারিবারিক, মানসিক এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ভাবে হতাশায় তারা। চাকুরী হারানো নাটোর আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে রিসিপশনিস্ট পদে কর্মরত আরিফুল ইসলাম জানান, এখানে নাটোর জেলার ৩ জন আমরা দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে/মাস্টার রোলে ছিলাম। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী পদে উত্তম কুমার, ক্লিনার পদে শুভ জমাদার দীর্ঘ দিন থেকে কর্মরত ছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের কোনো নোটিশ কিংবা চিঠি ছাড়া অফিসে না আসার জন্য বলে। আমরা জানুয়ারি মাসের বেতনও এখনো পায়নি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যত। আগামী দিনগুলো কিভাবে খেয়ে পরে পরিবার নিয়ে চলবো তা অনিশ্চিত। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এদিকে বিনা নোটিশে চাকুরী হারিয়েছেন রাজশাহী আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের গার্ডেনার আছানুর রহমান, ক্লিুনার সঙ্গিতা রানী, চট্রগ্রাম আগ্রাবাদ সফটওয়্যার পার্কের কেয়ারটেকার তরুন কুমার ঘোষ, কেয়ারটেকার আব্দুল্লাহ, ইলেকট্রিশিয়ান লোকমান, অফিস সহায়ক অরিন্দম কুমার ঘোষ, ক্লিনার লিটন দাস, গাজীপুরের কালিকৈর হাইটেক পার্কের ক্লিনার সঞ্জয় সহ খুলনা ইনকিউবেশন সেন্টার ও সিলেট হাইটেক পার্কের ২০ জন। চাকুরী হারানো যুবকরা জানান, তারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলাম, পরিচালক ও অর্থ প্রশাসন এসএম ফরিদ উদ্দিন, উপ-পরিচালক (চ:দা) শাহরিয়ার আল হাসান ও শফিক উদ্দিন ভুঁইয়া পরস্পর যোগসাজশে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ সুনির্দিষ্ট কোনো কারন তারা জানাননি। এ বিষয়ে তারা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। হাইটেক পার্ক রাজশাহীর উপ-পরিচালক মাহফুজুল কবির জানান, এ বিষয়ে আমরা উপরের নির্দেশনা মোতাবেক মৌখিক ভাবে অফিসে না আসার জন্য বলে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। কি কারনে বাদ দেয়া হলো আমরা তা অবগত নয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।