হাথুরুর সঙ্গে বিসিবির চুক্তি বাতিল
গেল মঙ্গলবার চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বিসিবি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এবার সেই ৪৮ ঘণ্টা পরে তার সঙ্গে করা জাতীয় দলের কোচের চুক্তি বাতিল করল বিসিবি। তার জায়গায় নতুন কোচ ফিল সিমন্সকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ছিল হাথুরুসিংহের। তবে তার আগেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচারণের অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করল বিসিবি। গেল ১৫ অক্টোবর হাথুরুকে সরানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। অবশেষে সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হলো। গতকাল চুক্তি বাতিলের আগে বিসিবির কার্যালয়ে পরিচালকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুবাইয়ে অবস্থানরত বিসিবি সভাপতি ফারুক অনলাইনে সভায় সভাপতিত্ব করেন।বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গেল বুধবার (১৬ অক্টোবর) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। সেই জবাব পেয়ে বোর্ডের জরুরি সভা ডাকা হয়। সভায় সব কারণ বিবেচনা করার পরে বোর্ড হাথুরুসিংহের ব্যাখ্যাকে অসন্তোষজনক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে। তার কাজকে অসদাচরণ এবং কর্তব্যের অবহেলার হিসেবে বিবেচনা করছে বোর্ড। সুতরাং তার সঙ্গে করা চুক্তি অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে এবং তাকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। হাথুরুর জায়গায় ফিল সিমন্সকে চারটি টুর্নামেন্টের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দায়িত্ব পালন করবেন ফিল সিমন্স। ইতিমধ্যে এই উইন্ডিজ কোচ ঢাকায় এসেছেন। মিরপুরে পরিদর্শনও করেছেন। আজ তার অধীনে প্রথম বারের মতো টাইগার বাহিনী অনুশীলনে নামবে। এই চার টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করে দেখাতে পারলে সিমন্সের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতেও পারে বিসিবি, এমনটি জানা গেছে। এই বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন সভাপতি ফারুক। সিমন্সের সময়ের সঙ্গে বিসিবির চাহিদা
মিললে চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে।এদিকে হাথুরু ক্ষেপে আছেন তেলে-বেগুনে। তাকে চাকরিচ্যুত করা হলেও এখনো প্রতিকারের আশায় বসে আছেন। আইনি লড়াইয়ে নামারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে বিসিবিও। ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, হাথুরু আইনি লড়াইয়ে নামলে বিসিবিও সেই পথে হাঁটবে। বিসিবির কাছে তথ্য রয়েছে, ভারত বিশ্বকাপ চলাকালীন এক খেলোয়াড়কে চড় মেরেছিলেন হাথুরু। এই বিষয়ে সরাসরি কোনো কোচকে চাকরিচ্যুত করার অধিকার থাকলেও বিসিবি আইনসম্মত পথে হেঁটেছে। শুরুতে কারণ দর্শানোর নোটিশের পরে চাকরিচ্যুত। এবার হাথুরু এই জল কতটুকু ঘোলা করেন, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।