হেমন্তের খামখেয়ালিতেও সুস্থ থাকুন

Share Now..

প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার যেন শেষ নেই। এই প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলেই জীবন সুন্দর মনে হয়। 

ঋতুবৈচিত্রের ধারাবাহিকতায় এখন হেমন্তকাল। দিনে স্নিগ্ধ রোদ আর রাতে হিম হিম বাতাসের দোলায় হেমন্তকে ঠিক চেনা যায়। তবে এটা স্বীকার করতেই হয় হেমন্তের এই হিম হিম বাতাসই কিন্তু শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে। তাই এসময় কিছুটা সাবধান না থাকলে প্রকৃতির এই দোদুল্যমান অবস্থায় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি শরীরে এসে ভর করবে। একটু নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই কিন্তু হতে হবে অসুস্থ। 

এক্ষেত্রে চলুন নেওয়া যাক বয়সভেদে যত্নের কিছু পরামর্শ-

১. এসময় সকালবেলা যেহেতু একটু শীত শীত ভাব থাকে কাজেই এই সময় শরীরে পাতলা একটি চাঁদর জড়িয়ে নিতে পারলে ভালো। এতে বয়স্কদের শরীরে ব্যথা, হাড়ের ব্যথা এগুলো অনেক সময় কমে যায়। 

আর বাচ্চারা যারা স্কুলে যায় তাদের ইউনিফর্মের নিচে পাতলা একটি গেঞ্জি পরিয়ে দিতে পারলে হঠাৎ সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ঠান্ডা লেগে সর্দি হওয়ার হাত থেকে বাঁচা যাবে।

২.বাচ্চার স্কুল থেকে ফিরলে তখন কিন্তু তাদের গরম লাগবে কারণ দুপুরের চড়া রোদে আর স্কুলের ক্লাসের ফাঁকে খেলাধুলা করার জন্য তাদের গরম লাগাটাই স্বাভাবিক। 

তবে মনে রাখতে হবে বাইরের গরম থেকে বাসায় এসেই সঙ্গে সঙ্গে গোসল না করানোই ভালো। একটু সময় পার করে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলে তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিলে বাচ্চা অনেক আরাম পাবে।

৩. যেহেতু এখন দিন যেহেতু ছোট হয়ে আসছে কাজেই গোসল করাতে করাতে দেরি করা ঠিক হবে না। বৃদ্ধ এবং বাচ্চারা এমনকি সবাই যারা বাসায় থাকেন তারা দুপুরের মধ্যে গোসল সেরে নিলে ভালো।

৪. বিকেলবেলা বাচ্চারা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় ফুল হাতা গেঞ্জি অথবা জামা পরিয়ে দিলে ভালো হবে। তবে খুব বেশি গরম লাগবে এমন পোশাক বাচ্চাদের পরানো যাবে না এই সময়।

কারণ খেলাধুলার পরই কিন্তু বাচ্চারা ঘেমে যায়। এই ঘাম শরীরে বসে গেলেও বাচ্চাদের সর্দি, কাশি এমনকি জ্বর পর্যন্ত আসতে পারে।

৫.বয়স্করা যেন বিকালে বাসায় বসে না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটু বাইরে হাঁটাহাঁটি করা যেমন হার্টের জন্য ভালো তেমনি বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথাও কিন্তু কমে। আর ডায়াবেটিস রোগীদের তো হাঁটা অতি জরুরি।

৬. রাতে শোবার সময় গরম লাগলেও ভোরের দিকে কিন্তু শীত শীত ভাব অনুভূত হয়। কাজেই রাতে শোবার সময়ই যদি ফ্যানের গতি মাঝামাঝি করে রাখা যায় তবে কিন্তু সর্দি ও শরীরে ব্যথা থেকে দূরে থাকা যাবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এসি এসময় ব্যবহার না করাই ভালো।

৭.যেহেতু যাত্রাপথে মাস্ক ব্যাবহর করলে ধুলাবালির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

৮. সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরে এক বাটি গরম স্যুপ খেলে একেবারে চাঙ্গা করে তুলবে।

One thought on “হেমন্তের খামখেয়ালিতেও সুস্থ থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *