১১টি ভ্রাম্যমান টিম কাজ করলেও থামছে না চলাচল ঝিনাইদহে লকডাউন যেন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো !

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে কঠোর লকডাউন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোয় পরিণত হয়েছে। মানুষকে কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। জেল জরিমানা ও কঠোরতা প্রয়োগ করেও পরিস্থিতি কুলানো সম্ভব হচ্ছে না। চলমান কঠোর লকডাউনে মানা হচ্ছে না কোন নির্দেশনা। বিনা কারণে নানা অজুহাতে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। সড়কেও বেড়েছে ছোট ছোট যানচলাচল ও লোকসমাগম। বাইরে থেকে দোকান বন্ধ মনে হলেও সামনে সামনে বসে কেনাবেচা করছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ও গলি পথে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। এদিকে হাট ও বাজারগুলোতে গাদা-গাদি করে কেনা-বেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। অনেকেই পরছেন না মাস্ক। যে কারণে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা ও করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মোড়ে মোড়ে চেক পেস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও তাদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজেটিভ নিয়ে ৫ জন মারা গেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১৯৪ জনে। এছাড়াও নতুন করে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৪ ভাগ। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি দেওয়া নির্দেশনা না মেনে বিনা কারণে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি আর স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুলিশ বা প্রশাসন কঠোর হলেও মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে করোনার সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকরে জেলা ও উপজেলায় ১১ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সচেতনতামুলক প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *