১৪ বছর পর ইন্দোনেশিয়ার সামনে বাংলাদেশ
সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবার ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৪ বছর পর আবারও ইন্দোনেশিয়ার সামনে লাল সবুজ জার্সিধারীরা। ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ার দল।
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অলিখিত প্রস্ত্ততিই। মালয়েশিয়ায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ। যদিও র্যাংকিংয়ের বিচারে ইন্দোনেশিয়া বেশ শক্তিশালী দল বাংলাদেশের জন্য। ২৯ ধাপ এগিয়ে আছে তারা।
তাই আজকের ম্যাচে স্বাগতিকদের ফেভারিট মেনেই নামছেন জামাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘১২ দিনের বেশির প্রস্ত্ততি নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নামছি আমরা। আশা করি কঠিন এক ম্যাচ হবে। ইন্দোনেশিয়া অবশ্যই ফেভারিট। তবে আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখছি। মনে করি আমরা তাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারব ও ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারব।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের সবচেয়ে দুর্বল দল হওয়ায় আশা দেখারও সাহস পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তার ওপর চোটের কারণে মূল দলের ছয় খেলোয়াড়কে হারিয়ে শক্তিটা আরো কমে গিয়েছে। স্ট্রাইকার সংকটটা বরাবরই থাকে, এবারো থাকছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ক্যাম্পেই জায়গা হয়নি আবাহনী ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ছয়বারের দেখায় বাংলাদশের জয় কেবল একটি। ১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কায়সার হামিদের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। একই বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে কায়েদে আজম ট্রফিতে ১-১ গোলে ড্রও করে। কিন্তু সেই ইন্দোনেশিয়া এখন বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে।
সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পরিশ্রমকে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মনে করছেন জামাল, ‘১৪ বছর হলো আমরা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলিনি। খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা হবে। সামনের ম্যাচগুলোর জন্য এটা খুব ভালো প্রস্ত্ততি হবে। কিছু অর্জন করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করা দরকার। আমাদের মূল লক্ষ্যে সেটাই এবং ভালো ফল উপহার দেওয়া।’
এই ম্যাচে অবশ্য ইন্দোনেশিয়া তাদের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলার ইগি মাউলানা ভিক্রিকে পাচ্ছে না। ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন তিনি। সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি দেখতে পারবেন ৯ হাজার দর্শক। গতকালের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ৭ হাজার টিকিট। মহামারিকালে এই প্রথম দর্শক ফিরছে গ্যালারিতে। তাই তা স্মরণীয় করে রাখতে সবটুকু দিতে চান ইন্দোনেশিয়ার অধিনায়ক ফখরুদ্দিন আরিয়ান্তো, ‘আমরা খুশি যে ম্যাচে দর্শক থাকবে। এর জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। এই ম্যাচ আমাদের ফিফা র্যাংকিং আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। আশা করি কোচের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারব আমরা।