১৫ ভাগ পরিবারের আয় মহামারির আগের আয়ের সমান হয়নি

Share Now..

চলমান মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো তাদের প্রকৃত আয়, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কোভিড-১৯-এর ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এখনো দেশে অনেক দরিদ্র।

১৫ শতাংশ পরিবারের আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের সমান হয়নি। বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ঝুঁকির সম্মুখীন। তা হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পুষ্টি ও শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা। ভাচু‌র্য়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

রবিবার (৫ জুন) ‘ইনফ্লেশন, কোপিং অ্যান্ড রিকভারি চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামে ভাচু‌র্য়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পিপিআরসি-বিআইজিডি। অনুষ্ঠানে এক যৌথ সমীক্ষার সর্বশেষ রাউন্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্হাপন করেন বক্তারা। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে গবেষণাটি শুরু হয়। শহরাঞ্চলের বস্তি ও গ্রামাঞ্চলের বড় জনগোষ্ঠীর ওপর একাধিক সমীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করা হয় কীভাবে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করছে। এ বছরের মে মাসে প্রায় ৪ হাজার পরিবারের ওপর জরিপের পঞ্চম রাউন্ড চালানো হয়েছিল।

জরিপে দেখা যায়, মে ২০২২-এর সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি এবং দারিদ্রে্যর ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হওয়ায় ‘নতুন দরিদ্রের’ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশে।
বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় দেওয়া লকডাউনের পরে মাথাপিছু দৈনিক আয় বেশ ভালোভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছিল। আগস্ট ২০২১ থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আয়বৃদ্ধির এই হার ছিল ২৭ শতাংশ। কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে জানুয়ারি এবং মে ২০২২-এর মধ্যে এই আয় আবার ৬ শতাংশ কমতে শুরু করে। ফলে মানুষ কোভিড-পূর্বে যত আয় করত, বর্তমানে প্রকৃত আয় সে রকম হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *