২০০ মিটার স্প্রিন্টে নতুন রাজা কানাডার দি গ্রাস

Share Now..

কিংবদন্তি স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের অবসরের পর টোকিও অলিম্পিকে দ্রুততম মানব হওয়ার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট ছিলেন কানাডার আন্দ্রে ডি গ্রাস। কিন্তু নিজের সেরা টাইমিং করেও ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পেয়ে হতাশ করেন তিনি। তবে ২০০ মিটার ইভেন্টে ঠিকই নিজের জাত চেনালেন ২৬ বছর বয়সি এই স্প্রিন্টার। গতকাল দুর্দান্ত এক দৌড়ে সাত জনকে পেছনে ফেলে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে নেন তিনি। তার টাইমিং ছিল ১৯ দশমিক ৬২ সেকেন্ড।

রুপা ও ব্রোঞ্জ দুটি পদকই জমা পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে। ১৯ দশমিক ৬৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জেতেন কেনেথ বেডনারেক, আর ১৯ দশমিক ৭৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন ব্রোঞ্জ জেতা নোয়াহ লিলেস। স্বর্ণপদক জয় করে বুঝতে পারছেন জীবনে শৃঙ্খলা কতটা প্রয়োজন।

এই তো ২০১৯ সালের কথা। কানাডার আন্দ্রে ডি গ্রাসের অভ্যাস ছিল রাত জেগে বাড়ি ফেরা। সয়ম জ্ঞান না রাখা। সব সময় হাতে একটা প্রিয় বার্গার থাকবেই। বার্গার না খেলে গ্রাসের যেন পেটই ভরে না। জাংক ফুড ছিল তার প্রিয়। একটা সময় বুঝতে পারলেন ক্রীড়াবিদ হতে হলে কি করতে হবে। অলিম্পিকে পদক জয় করতে হলে জীবনে পরিবর্তন হওয়া দরকার। ব্যস হ্যাঁচকা টানে জীবনটা পরিবর্তন করলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুশীলনে যেতে হলে রাতে দ্রুত ঘুমাতে হবে। সব ক্ষেত্রে এসে গেল শৃঙ্খলা।

২০০ মিটার ইভেন্টে সবশেষ রিও অলিম্পিকেও পদক জিতেছিলেন গ্রাস। বোল্টের পেছনে দৌড় শেষ করে স্বাদ নেন রুপার। সেবারের থেকে এবার শূন্য দশমিক ৭ সেকেন্ড কমে নিজের সেরা টাইমিংয়ে দৌড় শেষ করে সোনা জিতেন এই কানাডিয়ান অ্যাথলেট।
১০০ মিটার ইভেন্টে নিজের সেরাটা দিয়েও সোনা পাননি ডি গ্রেস। তাই পণ করেছিলেন ২০০ মিটারের রেসটা জিতেই ছাড়বেন তিনি। লক্ষ্য পূরণ করে এই অ্যাথলেট বলেন, ‘এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম আমি। এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি। ১০০ মিটার ইভেন্টের পর আমি কিছুটা হতাশ ছিলাম। কেননা আমি আরো ভালো করতে পারতাম। তারপর নিজেকে বলেছি, আমাকে ২০০ মিটারে স্বর্ণ পেতে হবে।’এদিকে এই ইভেন্টে চতুর্থ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ১৭ বছর বয়সি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট এরিয়ন নাইটন। ১৯ দশমিক ৯৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি। জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে উসাইন বোল্টের রেকর্ড ভাঙার নজির আছে তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *