৫ কোটি ছাড়ালো যুক্তরাষ্ট্রের টিকা অনুদান

Share Now..

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৫১ মিলিয়নেরও (৫.১ কোটি) বেশি টিকা অনুদান দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে আরও টিকা। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুবসমাজ ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯’র আরো ৬.২ মিলিয়ন (৬২ লাখ) ডোজ টিকা অনুদান দিয়েছে। আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রদত্ত মোট টিকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ মিলিয়নেরও (৫.১ কোটি) বেশি এবং সামনের মাসগুলোতে আরো লাখ লাখ ডোজ টিকা আসার সময়সূচী নির্ধারিত রয়েছে।

১০ কোটি মানুষকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা প্রদানের মাইলফলক অতিক্রম করায় বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রদূত চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা’ফেইভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জীবনরক্ষাকারী টিকা অনুদান অব্যাহত রাখবে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দেশের ৭০% মানুষকে পুরো ডোজ টিকা সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকা অনুদানের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ৭ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে যথাযথ টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ শীতলীকৃত মজুদ ও পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা এবং শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর মাধ্যমে কোভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১২ কোটি ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তার আওতায় মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান সহজ হয়েছে, রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ জোরদার হয়েছে, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ফলে সম্মুখসারীর কর্মীরা সুরক্ষা পেয়েছে এবং সংক্রমণ থেকে কীভাবে নিজেদেরকে আরো সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *