৫ বছর পর জুমার খুতবা, মুসলমানদের উদ্দেশে যে বার্তা দিলেন খামেনি

Share Now..

প্রায় পাঁচ বছর পর জুমার খুতবা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। খুতবার পাশাপাশি জুমার নামাজে ইমামতিও করেছেন তিনি। খুতবায় চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে কথা বলেছেন খামেনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে খুতবা দিয়েছেন খামেনি। খুতবায় তিনি ইসরায়েলের আগ্রাসন প্রতিরোধকারী আরব গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। খামেনি মুসলিম ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এবং লেবাননে ফিলিস্তিন ও হিজবুল্লাহকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তার খুতবা শুরু করেন। 

খামেনি বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন, ইরান থেকে গাজা-লেবাননসহ সমস্ত ইসলামি দেশকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবার প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করতে চাই।’ খামেনি প্রথমে ফারসি ভাষায় খুতবা শুরু করেন। মুসলিম জাতির মধ্যে আরবি ভাষাভাষীর জাতিরাও যেন খামেনির আহ্বান স্পষ্ট বুঝতে পারে সেজন্য পরে আরবি ভাষায়ও খুতবা দিয়েছেন তিনি। ইরানে হিজবুল্লাহর প্রতিনিধি এবং হাশেম শাফিএদ্দীনের ভাই আবদুল্লাহ শাফিএদ্দীন খামেনির পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন। গতরাতে ইসরায়েল আবদুল্লাহ শাফিএদ্দীনকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছিল।

খামেনি খুতবায় বলেন, মুসলিম বিশ্বের সবারই সাধারণ শত্রু এক। আর সেটা হলো ইসরায়েল। তারা (ইসরায়েল) গুপ্তহত্যা চালিয়ে, সধারণ বেসামরিক মানুষ হত্যা করে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েলের হাত থেকে হামাস বা হিজবুল্লাহর নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের ভূমি, ঘর, দেশ এবং স্বার্থ রক্ষা করার অধিকার প্রত্যেক মানুষের আছে।

ফিলিস্তিনের জনগণের নিজেদের অধিকার রক্ষার বৈধতা দিয়ে খামেনি বলেন, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং অধিকার রক্ষায় আপত্তি করার ক্ষমতা নেই। পাশাপাশি হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন ও রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে বলে কেউ তাদের সমালোচনা করতে পারে না।

পাশাপাশি প্রধান নেতাদের হারিয়ে লেবাননবাসীদের আশাহত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রয়াত নেতা হাসান নাসরাল্লাহসহ সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করেন খামেনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *