আইপিএলে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় লোকেশ রাহুল
আইপিএলের আসন্ন আসরে পাঞ্জাব কিংসে আর দেখা যাবে না দলটির অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে। মেগা অকশনে নিজের নাম তুলবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে টুর্নামেন্টটির নতুন ফ্রাঞ্জাইজি লখনউর নেতৃত্বে দেখা যাবে ভারতীয় ওপেনারকে। এরই মধ্যে না কি দলটির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এমনটাই দাবি ভারতের গণমাধ্যমগুলোর। তবে রাহুলকে নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মূল সমস্যাটা শুরু হয়েছে লোকেশ রাহুল পাঞ্জাব কিংস ছেড়ে দেওয়ায়। ফ্রাঞ্জাইজিটির দাবি, তাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন রাহুল। যা নিয়ে দলটির কর্তাব্যক্তিদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, রাহুলের সঙ্গে পাঞ্জাবের চুক্তি শেষ হয়নি। তারাও অধিনায়ককে ধরে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক নিজ থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফ্রাঞ্জাইজিতে আর থাকছেন না।
২০২০ সালে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়কের দায়িত্ব পান লোকেশ রাহুল। তার অধীনে দুই সিজন খেললেও কোনো সাফল্য পায়নি দলটি। সর্বশেষ আসরে প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন রাহুল।
পাঞ্জাবের অন্যতম অধিকর্তা নেস ওয়াদিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা রাহুলকে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে থাকতে চায়নি। অথচ পাঞ্জাবের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়নি এবং এর মধ্যেই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ওকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এভাবে চুক্তির আগে আগ্রহ প্রকাশ করাটা অনৈতিক এবং রাহুলেরও নিলামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এটা বিসিসিআইয়ের নীতিমালারও বিরোধী।
ওয়াদিয়ার কথা যদি সত্য হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট যে রাহুল নীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। এখন পাঞ্জাব চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে হয়তো। আর যদি এমনটা হয় তাহলে অন্তত এক বছরের জন্য আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন ভারতীয় ওপেনার। কারণ, ২০১০ সালে একইভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। সেবার তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে চুক্তি থাকার পরও অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।