কোটচাঁদপুরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

Share Now..

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোল ঘেষে গড়ে উঠা সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অব্যস্থাপনার শিকার হয়ে হার্নিয়ার অপারেশন করা আব্দুল মান্নান (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা জান।

এদিকে মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে না জানিয়ে রাতের আধারেই মৃতদেহটি বাড়িতে রেখে আসেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে একের পর এক অনিয়ম করে বহাল তবিয়তে ক্লিনিক ব্যবসা করে যাচ্ছেন সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডা ছহি উদ্দিন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সূধীজন।

সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ডিসেম্বর) উপজেলার শিশারকুন্ড গ্রামের মৃ নুরুল আমিন মুন্সির ছেলে দিনমজুর আব্দুল মান্নান হার্নিয়ার অপারেশন করতে কোটচাঁদপুর বলুহর বাসষ্টান্ড এলাকায় অবস্থিত সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালে ডা. ছহি উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন। ওই দিনেই আব্দুল মান্নানের শরীরে অস্ত্রপাচার করেন, ডা. মো. আসলাম হোসেন। এসময় এনেসথেসিওলজিষ্ট (অজ্ঞান ডাক্তার) হিসাবে ছিলেন, ডাঃ প্রবীর কুমার মন্ডল।

স্বজনরা জানায়, এর আগে রোগীকে অন্যত্র নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার বয়স ও শরীরের অবস্থা অনুযায়ী অস্ত্রপাচার করার সময় রক্তের প্রয়োজন হবে। না হলে যে কোন মূহুর্তে বিপদ হতে পারে। কিন্তু সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন নিয়ম বা পরিক্ষা না করেই তাকে অপারেশন করতে নিয়ে যায়। শুক্রবার অপারেশন করার পর থেকেই রোগীর রক্ত সল্পতা দেখা দেয়।

যার পরিনতিতে মঙ্গলবার রাতে আব্দুল মান্নান ওই ক্লিনিকে মারা জান। স্বজনদের অভিযোগ মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজনকে খবর না দিয়ে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ক্লিনিকের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহটি গ্রামের বাড়ি শিশেরকুন্ড গ্রামের বাড়িতে রেখে আসে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক ডাক্তার ছহি উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অপারেশন করার পর রোগী ভালো ছিল। মঙ্গলবার রাতে বাথরুমে গিয়েছিল, বাথরুম থেকে আসার ১৫ মিনিট পর হার্ট এ্যাটাকে মারা যায়।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য গত ১৯ নভেম্বর সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতি মায়ের গর্ভেই এক নবজাতক মারা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *