বাইডেনের কর্মক্ষেত্রে টিকা নীতি আটকে দিলো সুপ্রিম কোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বড় কোম্পানিগুলোর কর্মীরা টিকা না নিলে তাদের জন্য সার্বক্ষণিক মাস্ক পরা ও প্রতি সপ্তাহে কোভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যে নীতি ঘোষণা করেছিলেন, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তা আটকে দিয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা বলছেন, টিকা বাধ্যতামূলক করার এ পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করেছে। তবে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্হ্যসেবা কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রে টিকা বাধ্যতামূলকের নীতিতে তারা সায় দিয়েছেন। বাইডেনের প্রস্তাবে টিকা নয়তো প্রতি সপ্তাহে কর্মীদের শনাক্তকরণ পরীক্ষার নিয়ম বলবৎ হতো ১০০-এর বেশি কর্মী আছে সেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের জরিমানা করারও পরিকল্পনা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬-৩ ভোটে এই নীতির বিপক্ষে অবস্হান নেন। সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল বিচারকদের ভাষ্য, কোভিড-১৯-এর ঝুঁকির সঙ্গে অপরাধ, বায়ুদূষণ কিংবা অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণে দৈনন্দিন যেসব বিপদের মুখে পড়তে হয়, সেসবের ঝুঁকির কোনো পার্থক্য নেই। যে কারণে বাইডেনের টিকা নীতিকে অসংখ্য মার্কিনির দৈনন্দিন জীবন ও স্বাস্হে্যর ওপর ‘অনুচিত হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন তারা। বাইডেনের নীতি কার্যকর হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির ৮ কোটির বেশি কর্মীর ওপর প্রভাব ফেলতো।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে হতাশ ডেমোক্র্যাট এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সহজ ও কার্যকর উপায়ে কী করে কর্মীদের টিকা দেওয়া যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন বিভিন্ন রাজ্য ও নিয়োগ কর্তাদের।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক নেতাদের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, ফরচুন ১০০ কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশের মতো যারা (কর্মীদের টিকাদান নিশ্চিতে) এগিয়ে এসেছেন, তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার এবং তাদের কর্মী, গ্রাহক ও কমিউনিটির সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক টিকাদানের ব্যবস্হা করতে।’
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
¿Existe una mejor manera de localizar rápidamente un teléfono móvil sin que lo descubran?