পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনাশৈলকুপা পৌর এলাকার অবৈধ আশা ইট ভাটা বার বার ধরা ছোয়ার বাইরে
শৈলকুপা ঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার পৌর এলাকার কাজীপাড়া নামক স্থানে অবৈধ আশা ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ধুম চলছে । উপজেলায় বার বার অভিযান পরিচালনা হলেও এই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন অভিযান কোন কালেও পরিচালনা করা হয় না। ইতিপূর্বে শৈলকুপায় পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর কর্তৃক যতবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে একটি বারও এই অবৈধ ইট ভাটার কাছেও কেউ যাইনি।
গত বছরে পৌর এলাকায় ৬টি ভাটার মধ্যে ৫ টি ভাটা গুড়িয়ে দিলেও পৌর এলাকার অবৈধ আশা ইট ভাটায় কেন অভিযান পরিচালনা হয়নি তা নিয়ে ছিল সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন। বহাল তবিয়তে চলছে এই অবৈধ ভাটার কার্যক্রম।
ক্ষতিগ্রস্থ ভাটা মালিকরা বলেন,গত বছর আমাদের ভাটাগুলো গুড়িয়ে দিল কিন্তু পৌর এলাকার একদম লোকালয়ে অবস্থিত আশা ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কেউ গেল না । শৈলকুপা পৌরসভার মধ্যে আশা ইট ভাটায় অভিযান চালানো হয়নি বলে নানা প্রশ্ন শৈলকুপার সাধারণ মানুয়ের মনে দেখা দিয়েছে। তখন অনেক ভাটার মালিকরা অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের দিকে কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। কিসের দূর্বলতা এই বিশেষ ইট ভাটার প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুজে পাইনি শৈলকুপার সচেতন মহল।
দেখা যায়, এবারও এই অবৈধ ইট ভাটাটি চলছে। সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার মন কাঠ দিয়ে ইট পুড়িয়ে চলেছে। একেবারেই জনাকীর্ণ আবাসিক এলাকায় এই ইট ভাটাটির অবস্থান থাকলেও এর বিরুেেদ্ধ এ পর্যন্ত কোন আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই ভাটা কেন্দ্রিক বসবাসরত মানুষেরা খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে।এই অবৈধ ভাটা মালিক ভাটা চালাতে এক ধরনের সন্ত্রাসী- সিন্ডিকেট বাহিনী পুষে থাকেন। এরা সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়। এলাকার কৃষিজমি, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে সম্পূর্ণ তছনছ করছে। তবে মুখ খুলে কথা বলতে পারে না সাধারণ মানুষ। এই ভাটার অত্যাচারে অতিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কৃষি জমিগুলোতে ভাল ফসল হয় না ভাটার কারণে। ভাটার ধোঁয়া স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করে আসছে। এছাড়াও শত শত বিঘার ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে।
এদিকে শৈলকুপায় আরো অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে। পৌর এলাকাতে এখনো রয়েছে ৫টি অবৈধ ইটভাটা, যার বৈধতা নেই। মানা হয়নি সরকারী নীতিমালা। যেগুলো অবিলম্বে গুড়িয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ সচেতন মানুষেরা তবে গতবছর এসব ইট ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন,পৌরসভার মধ্যে এভাবে ইট ভাটা চালানোর আইনগত ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, পৌরসভার মধ্যে এভাবে ভাটা পরিচালনা করার কোন বৈধ্যতা নেই। আমরা অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নিব।
শৈলকুপা পৌর বাসির দাবী এই অবৈধ আশা ইট ভাটাটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।