কোটচাঁদপুরে বাওড় নিয়ে একের পর এক হামলা মামলা

Share Now..

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি

এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মৎস্য হ্যাচারি ও বাওড় কোটচাঁদপুর বলুহরে অবস্থিত ১৯৭৯ সালে টানা ছয় বছর কার্যক্রম শেষে ১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে হ্যাচারি ও বাওড়ের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিগত ৩০ বছর ধরে এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছে। এখান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব সরকারের খাতায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে। প্রতিবছর মোটা অংকের একটা অর্থ যোগ হয় সরকারি কোষাগারে।

তবে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে গত দুই বছর বাওড় ম্যানেজার সরকারি নির্ধারিত টার্গেট পুরণ করতে ব্যার্থ হওয়াই। বাওড় মৎস্যজীবী সমীতির কাছে গোপনে বাওড় লিজ দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাওড় ব্যক্তি মালিকানা হওয়াই লেন্ডিংএ মাছ কিনতে যাওয়া রানী মাছ ধরা ও বেক্তি মালিকানা জমিতে বাওড়ের পানি উঠে বোরো ধান চাষি কৃষকদের আবাদ নষ্ট করা কে কেন্দ্র করে প্রায় হচ্ছে হামলা ও মামলার ঘটনা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা লিখিতো অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে।

গতকাল ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারি লেন্ডিং মাছ কিনতে যাওয়া বলুহর কুড়িপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা ও মনির হোসেনের সাথে হালদার সম্পদয়ের ধাক্কাধাক্কি হয়।

এরই পেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় শ্রী সুশীল কুমার বিশ্বাসের উপরে অতরর্কিত হামলা করেন গোলাম মোস্তফা।

সুশীল কুমার বিশ্বাস জানান গতকাল মাছ কেনা নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছিলো আমি সেখানে ছিলাম না। কিন্তু আমার উপরে হঠাৎ অতরর্কিত হামলা করে, এবং আমার কাছে থাকা নগদ কিছু টাকাও ছিনিয়ে নেয়। আমি এই হামলার সঠিক বিচার আশাবাদী।

ওদিকে হামলাকারি গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা নগদ টাকা দিয়ে মাছ কিনতে গিয়েও মাছ পায় না। সরকারি নির্ধারিত টাকা দিলেও মাছ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন।

তবে সরকারি বাওড় আইনে উল্লেখ আছে আগে লেন্ডিং এ জনগণের কাছে মাছ বিক্রি করে, বাকিটা বাজারজাত করতে হবে এমন প্রশ্ন করলে আমার ছোট ভাই মনির হোসেনকে চর থাপ্পর ও কিল ঘুষী মারেন, ঘটনাস্থলে থাকা হালদার জনগোষ্ঠি

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ঘটনা স্থানে গেলে বাওড় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ হালদার জানান গতকাল লেন্ডিংএ মাছ কেনা নিয়ে একটু হাতাহাতি হলেও সেখানেই আমরা মিমাংসা করে দেই। কিন্তু আজ দুপুরে হঠাৎ শুনতে পায়, আমাদের এক সদস্য সুশীল কুমার বিশ্বাস কে রাস্তায় হামলা করেন গোলাম মোস্তফা( ৩৫) ও শ্রী কৃষ্ণপদ হালদার (৪০) পিতা মৃত গুরুপদ হালদার উভয় সাং বলুহর
সরকারি বাওড় মৎস্যজীবী সমীতির আওতায় কিভাবে আসলো সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি জানান গত দুই বছর বাওড় ম্যানেজার সরকারি নির্ধারিত টার্গেট পুরন করতে ব্যার্থ হওয়ার ৯০ লক্ষ টাকায় এক বছরের জন্য আমাদের কাছে লিচ দেন।

সরকারি বাওড় কিভাবে লিজ নিলেন জানতে চাইলে বলেন, এটা বাওড় ম্যানেজার জানে, এব্যাপারে বাওড় ম্যানেজার মোঃসিদ্দিকুর রহমানের অফিসে না পেয়ে, মুটোফোনে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি একটা মিটিং বাইরে আছি তবে শুনেছি মারামারি মতো ঘটনা ঘটেছে, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।

সরকারি বাওড় মৎস্যজীবী সমিতির কাছে লিজ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাওড় ম্যানেজার বলেন সবকিছু আমার দায়িত্বেই আছে আমি মিটিং শেষে কোটচাঁদপুর আসলে বিস্তারিত জানাবো বলে ফোনটা রেখে দেন।
এব্যাপারে মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *