কালীগঞ্জের নবজাতক চুরি হলো যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে
স্টাফ রিপোটারঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফয়লা গ্রামের মেহেদি হাসান জনি ও আসমা খাতুন দম্পতির একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেই স্থানীয় একটি ক্লিনিকে । সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও জন্মের পর কান্না না করার কারণে ডাক্তার যশোর নিউ মার্কেটে অবস্থিত শিশু হাসপাতাল রেফাড করেন ঐ ক্লিনিকের ডাক্তার। গত এক সপ্তাহ যাবত যশোর শিশু হাসপাতালে ৩০৭ নং কক্ষে এই নবজাতকের চিকিৎসা চলছিল সেখানকার শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হালিম ও ডাক্তার প্রকাশ এর তত্ত্বাবধানে ।যে সকল সমস্যা নিয়ে এই শিশুটি ভর্তি হয়েছিল সেইসব সমস্যা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠায় আজ রবিবার তাদের রিলিজ দেয় শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতিকালে বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে হাসপাতালে ৩০৭ নম্বর রুম থেকেই শিশু বাচ্চাটি চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়া নবজাতকের পিতা মেহেদী হাসান জনি জানান, আমার বুকের মানিক আমার সন্তান আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন সুস্থ। তাই রিলিজ নিয়ে আমরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এজন্য আমি হাসপাতালে আমার ছেলে, স্ত্রী ও শাশুড়িকে রেখে গাড়ি ঠিক করতে যায়।কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে শুনি আমার বুকের মানিক চুরি হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী ও শাশুড়ীর সঙ্গে অপরিচিত একজন মহিলা এসে কথা বলার এক পর্যায়ে আমার শাশুড়ির নিকট থেকে আমার ছেলেকে সে কোলে নেয়।এসময় আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি ব্যাগ গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক ঐ সুযোগে মহিলাটি আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে মুহূর্তেই পালিয়ে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই মহিলাকে আর পাওয়া যায়নি। ব্যাপারটি যশোর থানায় জানানো হয়েছে। শিশু হাসপাতালটির একজন কর্মকর্তা জানান, আজ বাচ্চা চুরির একটি ঘটনা আমাদের হাসপাতালে ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যাপারটি আমরা সাথে সাথেই থানা পুলিশকে জানিয়েছি।পুলিশ এসেছিল,আমরা তাদেরকে সিসিটিভির ফুটেজও দিয়েছি। শিশু বাচ্চা চোরকে ধরতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই।