শৈলকুপায় ক্রীড়া অনুষ্ঠানের দাবী তুলে শিক্ষকের পিটুনি খেল শিক্ষার্থীরা

Share Now..

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
বাষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের দাবী করে শিক্ষকের পিটুনি খেয়ে গুরুতর জখম হয়েছে দশম
শ্রেণির এনামুল হোসেন ও রবিউল হোসেন। ঘটনাটি গটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আহত দুই ছাত্র দশম
শ্রেণির এনামুল হোসেন ও রবিউল হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা
হয়। এর মধ্যে এনামুলের হাতের একটি হাড় ফেটে গেছে। এ ঘটনায় আহত এনামুল
শৈলকুপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। খবর পেয়ে নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেট এসিল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল ও শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আমিনুল ইসলাম স্কুলটি পরিদর্শন করে অভিভাবক সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্কুল
কর্তৃপক্ষকে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবী উচ্ছৃংখল শিক্ষার্থীরা দাবী আদায়ের
আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। আহত ছাত্র এনামুল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন স্কুলে কোন
ক্রীড়া অনুষ্টান না হওয়ায় কয়েকদিন আগে দশম শ্রেণির ছাত্ররা প্রধান শিক্ষক বরাবর
ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করেন। আরেকটি আবেদন করে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আলোচনায় বসেন। এ সময়
কোন ক্লাস না হওায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষর্থীরা ক্রিকেট খেলার জন্য ব্যাট ও ক্রিকেট
স্ট্যাম্প নিয়ে তিন তলায় তাদের ডাকতে যায়। যাবার পথে স্ট্যাম্প পড়ে শব্দ হলে সহকারী
প্রধান শিক্ষক তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তিন তলায় উঠে দশম শ্রেণির
ক্লাস রুম আটকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেদম প্রহার করে। এ সময় দশম শ্রেণির এনামুল
হোসেন, রবিউল হোসেন রবিন হোসেন আহত হয়। দশম শ্রেণির ছাত্র ইমাম, আলিফ,
৮ম শ্রেণির ছাত্র হাসান ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র সাইফসহ ছাত্রদের অভিযোগ ক্রিড়া
অনুষ্ঠানের দাবী করায় স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রদের বেদম প্রহার
করেছে। অভিযোগ সম্পর্কে সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছাত্রদের দাবী
অনুযায়ী তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে মিটিংয়ে বসেন। এ সময় কিছু বখাটে
ছাত্র দাবী আদায়ের নামে ভাংচুর শুরু করে। ছাত্রদের শান্ত করতে তিনি একটি ছাত্রকে
স্ট্যাম্প দিয়ে একটি আঘাত করেন। তবে তা গুরুত্বর না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
উপানন্দন কুমার মন্ডল জানান, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্ররা তাদের কাছে একটি
আবেদন করে। এ বিষয়টি নিয়ে স্কুলেল সমস্ত শিক্ষক একটি আলোচনায় বসা হয়। এ
সময় কিছু ছাত্র দাবী আদায়ের নামে দশম শ্রেণির ক্লাস রুমের নতুন বøাকবোর্ড,
সিরির রেলিং, বাথরুমের বেসিন, কোমট সহবিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুর করতে

থাকে। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিস্থিতি শান্ত করতে বেত দিয়ে ছাত্রদের দু
একটি আঘাত করে যা গুরুতর নয়। ঘটনা নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি স্কুলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ছাত্রদের
পেটানো ঠিক হয়নি বলে জানান। তবে সন্তানদের প্রতি সব সময় খেয়াল রাখা উচিত
প্রতিটা অভিভাবকের। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এসিল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল বলেন
স্কুল ভাংচুরের ঘটনা শুনে তিনি গিয়েছিলেন। তবে ছাত্র পেটানোর ঘটনা তাকে কেউ
জানাননি বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *