পাকবাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জয় লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র একটি উন্নত জীবনযাত্রা চাওয়ার কারণেই ১৯৭১ সালে পাকসেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে হত্যা করেছিল। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের কাছে বাঙালিরা সমঅধিকারের স্বীকৃতি চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে ঘুমন্ত অবস্থায় বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’
জয় বলেন, ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খানের অধীনে থাকা টিক্কা খান ‘অপারেশন সার্চলাইট’’ শুরু করার জন্য ডেথ স্কোয়াডকে একত্রিত করে এবং তারা এক রাতে সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করে।
সেদিন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষপর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা ২ লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জয় বলেন, এই ব্যাপক গণহত্যার ফলে তিন থেকে চার কোটি বাঙালি বাস্তচ্যুত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নেয়।
হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যার প্রমাণের সবচেয়ে বড় ডকুমেন্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক নৃশংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর কাজ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেড এ ভুট্টো এই প্রতিবেদনের প্রতিটি কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই জঘন্য অপরাধগুলো এখনো গণহত্যা হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃতি পায়নি।
একাত্তরের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে শুধু গণহত্যার শিকারদের স্মৃতির প্রতি চরম অবিচার করা হবে না, এটি ইতিহাসের প্রতি চরম অবিচার করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Test your strategy and claim your victory! Lucky Cola