ভ্যাট কমানোর পরও কোটচাঁদপুরে কমেনি সয়াবিন তেলের দাম

Share Now..

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি

পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও কোটচাঁদপুরের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেনি। আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোটচাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল পাওয়া ভাগ্গের ব্যাপার। কোথাও এই বোতল মিলছে না। আবার প্রতিটি দোকানে এক লিটারের বোতল থাকলেও দাম কমেনি। এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক কেজি খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। খোন্দকার পাড়ার ঐশী খাতুন বাজারে তেল কিনতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এক কেজি পামওয়েল ১৫২ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক কমানোর পরও বাজারের উত্তাপ কমেনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। সপনা খাতুনের দাবী শুধু শুল্ক কমালেই হবে না। বাজার মনিটরিং করতে হবে। না হলে ভোক্তারা সুফল পাবে না। পৌর এলাকার নিয়মিত বাজারের দোকানদার আবুল কালাম জানান, সরকার ভোজ্যতেলের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমালেও তারা নতুন আমদানীকৃত তেল এখনো পাননি। ফলে আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, আমি বেশি দামে তেল কিনেছি। এ কারণেই আগের দামেই তেলগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন দামে তেল কেনার পরে আমি কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো। আমি তো ক্ষতি করে কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো না। মেইন বাজার এলাকার গৃহবধু তানিয়া সুলতানা জানান, শুনেছি সরকার তেলের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখলাম এক লিটারের তেলের বোতলের দাম এখনও কমেনি। এক লিটারের বোতল কিনেছি ১৬৮ টাকায়। তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার উচ্চমুল্যের পন্য কিনতে কিনতে পুঁজি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে। তিনি বলেন সরকার মধ্যবিত্তদের জন্য একটা কিছু করুক। কলেজ পাড়ার দিনমজুর আনোয়ার জানান, প্রতিদিন তার রোজগার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। দুই সন্তান ও স্বামী-স্ত্রীর পরিবার নিয়ে দিন পার করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কোনোদিন কাজ না করতে পারলে বা না পেলে ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে।আর মাত্র কয়েক দিন পরে রমজান মধ্যেবিত্তদের মরা ছাড়া উপায় নেই। এর আগে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। গত (১৬ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ও ভোক্তা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *