মায়ের চিকিৎসার টাকা জমা দিতে গিয়ে ছেলে খুন।পঙ্গু হাসপাতালের গ্রান্ড ফ্লোর হতে লাশ উদ্ধার।
স্টাফ রিপোটারঃ
মা-আছিয়া বেগমের পায়ের চিকিৎসা করতে যশোরে গিয়েছিলেন ছেলে।মা আছিয়া বেগমের পা-য়ের অপারেশনের জন্য ডাঃ আব্দুর রউফের ব্যাক্তিগত প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন ছেলে মফিজুর শেখ।সেই হাসপাতালেই দূবৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মফিজুর শেখ।গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে যশোর শহরের পঙ্গু হাসপাতালের গ্রাউন্টফ্লর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় পঙ্গু হাসপাতালের ম্যানেজার সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মফিজুর রহমান (৬৫) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের স্বজনরা জানান-গত ৩১ মার্চ মফিজুর রহমানের মা আছিয়া বেগম পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়।তার চিকিৎসার জন্য যশোর পঙ্গু হাসাপতালে ভর্তি করা হয়।ওই দিন দুপুরে- মফিজুর নিখোঁজ হন।তারপর হতে তাকে আর পাওয়া যায়নি। আজ তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের গলার নিচে ও বুকের উপরে দিকে কোপানো হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে দুবৃত্তরা।
যশোর চাঁচড়া ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনদিন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় হাসপাতালটির ম্যানেজার আতিয়ার রহমান এবং দুই লিফটম্যান জাহিদ গাজী ও আব্দুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।তবে উল্লেখ্য ইতিপূর্বেই এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে ঐই ক্লিনিকে।