সামরিক কুচকাওয়াজ ছাড়াই উ. কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন উদযাপন
উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংয়ের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে দেশটি। ১৯১২ সাল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) আতশবাজি ফোটানো, র্যালি এবং দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান চত্বরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজারো মানুষ ঐতিহ্যগত পোশাক পরে নেচে-গেয়ে প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন উদযাপন করে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী উত্তর কোরিয়া বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোকে নিজেদের নতুন অস্ত্র প্রদর্শনের জন্য বেছে নেয়। কিন্তু চলতি বছরে দেশটি লাগাতার অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। তিন সপ্তাহ আগে দেশটি ২০১৭ সালের পরর প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায়। তবে কিম ইল সাংয়ের জন্মদিনে সামারিক কুচকাওয়াজের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন তার দাদা কিম ইল সাংয়ের সমাধিতে যান এবং পিয়ংইয়ংয়ে কিম ইল সাং স্কয়ারে ‘একটি বৈঠক ও জনসমাগমে অংশ নেন’। কিন্তু জনগণের উদ্দেশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ওই বৈঠকে বলেন, উত্তর কোরিয়া সব ধরনের বাধা অতিক্রম করে সব সময় বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হবে।
শুক্রবার সূর্য ডোবার পর আয়োজিত কনসার্ট, চিত্র প্রদর্শনী এবং আদর্শিক সেমিনার সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের কেন্দ্রে ‘লাইট শোর’ আয়োজন করা হয়।
উৎসবে কিম ইল সাংয়ের আদি বাড়ি এবং ‘বিপ্লবের পবিত্র পর্বত, মাউন্ট পায়েকতু’ ‘শৈল্পিকভাবে চিত্রিত’ করা হয়। ‘পিয়ংইয়ং সবচেয়ে ভালো’ ও ‘আমরা পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী’ এমন বাকাংশ্যের সামনে ছবি তোলার অনুমতি ছিল বাসিন্দাদের।