ক্যাম্প ন্যু-তে আবারও বিশ্ব রেকর্ড গড়লো বার্সা নারী দল
বার্সেলোনায় এখন পুরো বিপরীত দুইটি চিত্র চলছে। একদিকে, দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করতে চলেছে বার্সেলোনা পুরুষ দল। অপরদিকে, একের পর এক ম্যাচ জিতেই চলেছে ক্লাবটির নারী দল। গত মৌসুমের মতো এবারও সম্ভাব্য সব শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা। গতরাতে ভেঙেছে আরও একটি বিশ্ব রেকর্ডও।
গতরাতে নারী চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জার্মান ক্লাব উলফসবুর্গের বিপক্ষে ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। এদিন ন্যু ক্যাম্পে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৯১ হাজার ৬৪৮ জন। যা যেকোনো পর্যায়ের নারী ফুটবলে বিশ্ব রেকর্ড! এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে একই মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ‘এল ক্লাসিকো’-তে ৯১ হাজার ৫৫৩ দর্শক উপস্থিত ছিল। সেটিও ছিল বিশ্ব রেকর্ড। এবার কয়েকদিনের ব্যবধানে নিজেদের রেকর্ড আবার নিজেরাই ভাঙলো বার্সার নারীরা।
এ যেন মেয়েদের দিয়েই নিজেদের গর্বের জায়গাটুকু ভরাট করতে চাচ্ছে বার্সা সমর্থকরা। এর প্রমাণ মেলে কিছুদিন আগে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যু-তে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে হেরে যায় বার্সার ছেলেরা। সেই ম্যাচে ক্যাম্প ন্যু-তে কেবল ফ্রাঙ্কফুর্টের দর্শকই ছিল প্রায় ৩০ হাজার! তারা বার্সার মাঠকে নিজেদের পক্ষে এনে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অথচ প্রতিপক্ষ শিবিরের জন্য মাত্র ৫ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছিল। তবু, কীভাবে ৩০ হাজার দর্শক ঢুকলো সেটা নিয়েই প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, বার্সা সমর্থকরাই নিজেদের টিকিট বিক্রি করে দিয়েছে।যাইহোক, বার্সার নারী দলও সমর্থকদের হতাশ করছে না। প্রতিটি ম্যাচই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে। গতরাতে জোড়া গোল করেছেন অধিনায়ক আলেক্সিয়া পুটেলাস। গত বছর ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা সহ সম্ভাব্য সব সেরার পুরস্কারই জয় করেছেন স্প্যানিশ এই প্লে-মেকার। এবারও একই পথে আছেন। সমর্থকরাও তাকে ভালোবাসেন। তাছাড়া, বার্সার বর্তমান নারী দলটিকে বলা হচ্ছে, স্মরণকালের অন্যতম সেরা নারী ফুটবল স্কোয়াড। গতকাল বাকি তিনটি গোল করেন জেনিফার এরমোসো, আইতানা বোনমাতি ও ক্যারোলিন হানসেনরা।