হরিশংকরপুরে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২৪০ নং হরিশংকরপুর মৌজার আওতাধীন ৮৪ শতক জমি দখলের
অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি এই
জমি জোর করে দখল করে নিয়েছেন। জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার মৃত আবদুল লতিফ
বিশ্বাসের ছেলে টিপু সুলতান জমিতে যেতে পারছেন না। জমি দখল ফিরে পেতে
টিপু সুলতান ঝিনাইদহ সদর থানা, সহকারী কমিশনার ভুমি ও হরিশংকরপুর পুলিশ
ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন। টিপু সুলতান বলেন, হরিশংকরপুর মৌজার ১১৭৯, ১১৭০ ও
১১৭৩ নং হাল দাগের জমি তার পিতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও চাচা মকছেদ আলী
বিশ্বাসের নামে দলিল রয়েছে। কিন্তু ভুলক্রমে হাল রেকর্ড আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের চাচা
মুনতাজ আলীর বিশ্বাসের নামে হয়ে গেছে। এই ভুল রেকর্ডের সুত্র ধরে মনিরুল রাতের
অন্ধকারে জমিটি জবরদখর খরে নিয়েছে। মনিরুল স্থানীয় সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত
ও ডাবল হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় জমির মালিক টিপু সুলতান ভয়ে জমির উপর যেতে
পারছেন না। অথচ এই জমি ১৯৭৬ সালে কেনার পর থেকেই মকছেদ আলী ও লতিফ
বিশ্বাসের ওয়ারেশগন ভোগদখল করে আসছিলেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই জমিতে
টিপুর পক্ষে ওই জমিতে ফজলু নামে এক কৃষক তামাক চাষ করছেন। কিন্তু ওই জমিতে
দখলদার মনিরুল রাতের আঁধারে জমি চষে পাট চাষ করছেন। হরিশংকরপুর গ্রামের
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এই জমি দীর্ঘদিন ধরে টিপু সুলতানের পরিবার চাষাবাদ
করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত বুধবার রাতে মনিরুল জমি দখল করে পাট বুনেছেন।
একই গ্রামের মিকাইল ও আজিজ বিশ্বাসও একই কথা জানালেন। জমি দখলের
অভিযোগে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, জমি দখলের অভিযোগটি সত্য নয়।
টিপু সুলতানের দাদার সাথে আমার দাদার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। রেকর্ডেও আমার
দাদার নামে। এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে আমি চাষাবাদ করি। এই জমি নিয়ে আদালতে
একটা মামলা চলমান রয়েছে দাবী করে মনিরুল জানান, এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত
অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে হরিশংকরপুর পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই
ফারুক হোসেন জানান, তিনি এমন একটি অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে জমির
কাগজপত্র নিয়ে ক্যাম্পে আসার জন্য বলেছেন।