চীন নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র-নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীন, বাণিজ্য, সুরক্ষা, বন্দুকধারীদের সহিংসতা নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
২০১৪ সালের পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে পা রাখলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩১ মে) জেসিন্ডা আর্ডানের সঙ্গে বাইডেনের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে চীনের প্রসঙ্গ।
দুই নেতাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে চীনের সামরিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বাড়ানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুজনেই ওই অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি আরও বেশি করার বিষয়েও একমত হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমাদের আরো কাজ করতে হবে।
একই দিনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই টোঙ্গার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য চুক্তি করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইডেন ও আর্ডার্ন প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলোর নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে, তাদের সঙ্গে যোগাযাগ বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড ও অন্য দেশগুলির সঙ্গে অ্যামেরিকার আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা নিয়ে দুই নেতার মতৈক্য হয়েছে।
গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড বাইডেনের নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটিতে (আইপিইএফ) যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে চীন নেই। তবে ১৪টি দেশ আছে। আর্ডার্ন জানিয়েছেন, আইপিইএফের উদ্দেশ্য হলো আমাদের অঞ্চলে আর্থিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধি বাড়ানো।
তবে প্রশান্তমহাগরীয় অনেক দেশ চায়, অ্যামেরিকা আবার ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপে(পিপিপি) যোগ দিক। ২০১৭ সালে ট্রাম্প এখান থেকে বেরিয়ে গেছিলেন।
দুই নেতার আলোচনায় ঘরোয়া সন্ত্রাস ও বন্দুধারীদের তাণ্ডব বন্ধ করার প্রসঙ্গও আলোচনা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে এক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করেছিল। এরপরই দেশের ১২০ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১১৯ জনের সমর্থনে আর্ডার্ন অটোমেটিক রাইফেল রাখা নিষিদ্ধ করতে আইন করেন। বাইডেন আর্ডার্নের এই প্রয়াসকে সমর্থন করেছেন।
তবে, বাইডেন অ্যামেরিকায় এই ধরনের আইন করতে পারেননি। সম্প্রতি টেক্সাসে ১৯টি বাচ্চা ও দুই জন শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেছে এক তরুণ। ২০১২ থেকে বাইডেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা তিনি নিতে পারেননি।