‘মালিক পক্ষের অসহযোগিতার কারণে দ্রুত আগুন নেভাতে পারিনি’
মালিক পক্ষের অসহযোগিতার কারণে আমরা দ্রুত আগুন নেভাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘মালিক পক্ষ জানেন কনটেইনার ডিপোতে কোথায় কোথায় কেমিক্যাল আছে, যদি তারা আমাদের সঠিক তথ্য দিতেন, তাহলে খুব দ্রুত আগুন নেভাতে পারতাম। তারা আমাদের সহযোগিতা করেননি।’
রবিবার (৫ জুন) সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। কীভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে তা ঘুরে দেখেন মহাপরিচালক।মহাপরিচালক বলেন, ‘গতকাল রাত ১০টায় প্রথমে সীতাকুণ্ড পৌর ফায়ার সার্ভিস ও কুমিরার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি টিম কাজ করে। তারা অপারগ হলে চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী থেকে ফায়ার সার্ভিস টিম এনে কাজ করাই। এতেও যখন হচ্ছিল না, আমরা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিস টিম আনি। সব মিলিয়ে ২৫টি টিম এখনও কাজ করছে। তবে, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’
এদিকে, আর্মির ইঞ্জিরিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিনার নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল রাত থেকেই কাজ করছে। ডিপোর আগুনের ভেতরে যাতে প্রবেশ করা যায়, সেজন্য আরও কোরের সদস্যদের আনার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আরও ৪টি বিস্ফোরণ ঘটে।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে। আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিপোর মালিক বা কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেননি।
মালিকপক্ষের কেউ না থাকায় কনটেইনার ডিপোতে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে, তা জানতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এ কারণে তারা উদ্ধার তৎপরতায় বেকায়দায় পড়েছে।