ইমরান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৫১ একর জমি নেওয়ার অভিযোগ
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। অভিযোগ, পিটিআই সরকারের আমলে ইমরান ও তার স্ত্রী অবৈধভাবে ৫ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি এবং কয়েক শত কানাল জমি গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জুন) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ অভিযোগ করেছেন, একটি মানি লন্ডারিং মামলায় রিয়েল এস্টেট ফার্মকে “সুরক্ষা প্রদানের” বিনিময়ে ইমরান খান ও তার স্ত্রী জমি এবং নগদ গ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসলামাবাদ ভিত্তিক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রিয়েল-এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ‘বাহরিয়া টাউন’ যুক্তরাজ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে অবৈধভাবে ৫০বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি স্থানান্তর করেছে।
সানাউল্লাহ বলেন, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি অবৈধভাবে এই অর্থ হস্তান্তরের বিষয়টি চিহ্নিত করেছে।
পাকিস্তানের এই মন্ত্রী দাবি করেন, ইমরান খান তার সহযোগীকে দায়িত্ব দেন বিষয়টি সমাধান করার জন্য। তারা পুরো মামলাটি “মীমাংসা” করেছে বলে জানা গেছে। এই ৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এবং জাতীয় কোষাগারের অন্তর্গত।
সানাউল্লাহর বরাত দিয়ে ডন বলেছে, এই মামলা এখানেই শেষ হয়নি। বাহরিয়া টাউন তার ৫০ বিলিয়ন রুপি সরকার দ্বারা সুরক্ষিত হওয়ার পরে একটি চুক্তি করে যেখানে ইমরান এবং তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ট্রাস্টকে ৪৫৮ কানাল (৮ কানালে ১ একর) জমি বরাদ্দ দেয়। যার কাগজে কলমে মূল্য ৫৩০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।