তুর্কিয়েতে আসছেন সৌদি যুবরাজ, তাকে স্বাগত জানাব: এরদোয়ান
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ২২ জুন তুর্কিয়ে (তুরস্কের নতুন নাম) যাচ্ছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজকে স্বাগত জানাবে তুর্কিয়ে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ও তুর্কিয়ে নিজেদের সম্পর্কের তিক্ত বিবাদ পেছনে ফেলে আসার চেষ্টা করছে। সম্পর্কের এই তিক্ততা গত কয়েক বছর দেশ দুটিকে বৈরী প্রতিপক্ষে পরিণত করে। সৌদি যুবরাজের সফরের বিষয়টি শুক্রবার (১৭ জুন) ঘোষণা দেন এরদোয়ান। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নৃশংস কায়দায় হত্যার পর এই প্রথম তুর্কিয়ে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ।
খাসোগি একসময় সৌদি রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে তিনি তাদের সমালোচনায় সোচ্চার হন। তাকে হত্যার ঘটনায় পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও তুর্কিয়ের সম্পর্কেও মারাত্মক অবনতি দেখে বিশ্ব।
সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, ‘বুধবার সফরে আসছেন সৌদি যুবরাজ। আমরা তাকে স্বাগত জানাব।’ তুর্কিয়ে ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ কোন পর্যায়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়টি স্থির করার সুযোগ আমাদের হবে, ইনশা আল্লাহ।’
এর আগে তুর্কিয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সফরের বাকি বিস্তারিত সপ্তাহান্তে সৌদি আরবের অঘোষিত (ডি ফ্যাক্টো) এই শাসকই জানাবেন।
জানা যায়, সৌদি যুবরাজের সফরে দুই দেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। তীব্র মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের অংশীদারদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে তুর্কিয়ে। অন্যদিকে, তুর্কিয়ের সামরিক প্রযুক্তির দিকে নজর সৌদি আরবের।
ইতিমধ্যে এপ্রিলের শেষ দিকে সৌদি আরব সফর করেছেন এরদোয়ান। খাসোগি হত্যার পর এটাই ছিল তার প্রথম সৌদি সফর। মক্কায় ওমরাহ পালন করতে যাওয়ার আগে তিনি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।