প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় খেলোয়াড়দের মনে অন্যরকম প্রেরণা

Share Now..


মূল্যায়ন করতে ভুল করেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবার থেকে খেলাধুলায় প্রেরণা পেয়েছেন। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবলার ছিলেন। ভাই শেখ কামাল খেলোয়াড় ছিলেন, শেখ জামাল খেলোয়াড় ছিলেন। শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খেলোয়াড় ছিলেন। বলতে গেলে খেলাধুলার পরিবারেই শেখ হাসিনার জন্ম। এই মানুষটি খেলাধুলার মানুষদের কাছে পেলে অন্যরকম হয়ে যান। তার যেন সব একদিকে খেলাধুলার মানুষরা একদিকে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর সব রকম চেষ্টা করেন তিনি।রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার আগে সামর্থ্যের মধ্যে খেলাধুলার মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তেমনি দেশ পরিচালনায় বসেও ক্রীড়াঙ্গনের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যখন যা দরকার সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। খেলায় সাফল্য পেলে তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অকৃপণ ভাবে। এমন একজন মানুষের কাছ থেকে পুরস্কার পেলে কার না ভালো লাগে। সেই পুরস্কার নিয়ে দারুণ খুশি জামাল ভুঁইয়া, মারিয়া মান্দা, আঁখি খাতুনরা| জামাল ভূঁইয়া এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে দারুণ খুশি। আরও ভালো খেলার প্রেরণা পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। একটা ট্রফি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান জামাল ভূঁইয়া।গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃতী ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। আর্থিক সম্মাননা দিয়েছেন। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ফুটবল দল, ২০২১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। আর গত নভেম্বরে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড চার জাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এই তিন খেলার ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ছিলেন ৬৬ জন খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তাসহ ২২ জন। ২৫ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী ফুটবলার এবং ১৮ জন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার রয়েছেন। প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি খেলোয়াড়দের মনে অন্যরকম অনুভূতি এনে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *