দুইটি জেলাসহ ৫৪ উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আগামী বৃহস্পতিবার ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে দুটি জেলাসহ ৫৪টি উপজেলা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে পঞ্চগড় ও মাগুরা।প্রকল্পগুলো হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহান পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।এর আগে এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং ভূমিহীন গৃহহীন অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ নামে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া জানান, প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছর ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট একক ঘর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দকৃত একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি। যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তরিত হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি এবং আগামী ২১ জুলাই হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরো নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ঘরের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি। এ প্রকল্পে এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।