খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করলেন কিম
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন অবশেষে স্বীকার করেছেন যে, তার দেশে খাদ্যা সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ তার দল ওয়ার্কার্স পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের এক বৈঠকে চলমান এই সংকট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৈঠকে কিম জং উন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার খাদ্য পরিস্থিতি বর্তমানে উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। গত বছর টাইফুন (ঘূর্ণিঝড়) ও বন্যার কারণে কৃষিক্ষেত্রে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার ফলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
জানা যায়, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। দেশটিতে এক কেজি কলার দাম ৪৫ ডলারে গিয়ে দাড়িয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কিত বিধিনিষেধ না মানার কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ওপর। ফলে চীনসহ মুষ্টিমেয় কিছু দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যের অনুমতি অবশিষ্ট রয়েছে দেশটির। এরমধ্যে চীনের সঙ্গে সবেচেয়ে বেশি বাণিজ্য রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। খাদ্য, সার ও জ্বালানীর জন্য চীনের ওপর প্রায় নির্ভরশীল দেশটি।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ফলে চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যও প্রায় তলানিতে ঠেকেছে।
উত্তর কোরিয়ার একাধিক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, চলমান খাদ্য সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
Get ready to conquer the virtual battlefield Lucky Cola