রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভলান্টিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝি (নেতা) জাফর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ভলান্টিয়ার নিয়ে ক্যাম্পে পাহারা দেওয়ার সময় এ আক্রমণ চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় ক্যাম্পে ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে তারা। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্প-১৮ এর এইচ/৫১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ১১টার দিকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ।
নিহত জাফর আলম (৩৫) উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক এইচ/৫১- এর বাসিন্দা ও মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।
১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ বলেন, রাত ৩টার দিকে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় কাজ করা রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীরা কয়েকজন দুর্বৃত্তকে দেখে পরিচয় জানতে চান। এ সময় হঠাৎ তারা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান জাফর আলম। আহত হয় আরও দুইজন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর হতেই অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করেন তিনি।
অপরদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আরেকটি গুলির ঘটনায় আরেক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, রাতে ক্যাম্প-৭ এ হালিম নামে এক রোহিঙ্গাকে দুর্বৃত্তরা পর পর তিন রাউন্ড গুলি করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আধিপত্য বিস্তার বা পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পে এর আগে চলমান দায়িত্বে থাকা একাধিকজন ব্লক মাঝি ও ক্যাম্প নেতাকে গুলি এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এপিবিএনের সাথে একাত্ম হয়ে ক্যাম্প পাহারা দেয়া ভলান্টিয়ার রোহিঙ্গাদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এবার সাবেক মাঝি ফারুক সেই হত্যা শিকার হলো। গত দুদিন আগেও রোহিঙ্গা দোকানিকে গুলি করে কুপি হত্যা করা হয়। আরেকজনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা।
From noob to pro, every win counts Lucky Cola