পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে হরিরামপুরবাসী
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
উপজেলার সৌয়দপুর, ধূলশুরা, কমলাপুর, কাঞ্চনপুর, কুশিয়ারচর এলাকার ৮০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। নিজেদের বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই এখন অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হয় এই অঞ্চলের শতশত পরিবার। ভাঙনরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় এ অঞ্চলের জনপদ। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পদ্মাপারের মানুষ। ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলে আপদকালীন ভাঙন রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর উপজেলার ১৩টি ইউপির ৩১৮টি গ্রামের অধিকাংশই বিলীন হয়ে গেছে। গত ২০ বছরে ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার তাদের কৃষি জমি, বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে। কেউ কেউ একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন।
আন্দারমানিক গ্রামের আরিফ মিয়া বলেন, হরিরামপুর উপজেলার খরিয়া গ্রামে আমার জন্ম ভিটা। পদ্মার ভাঙনে ভিটাবাড়ি হারিয়ে হালুয়াঘাট এলাকায় এসে বাড়ি করি। এখানেও ভাঙন শুরু হলে মোলারডাঙ্গী গ্রামে চলে যাই। এর পর উজান বয়ড়া চলে যাই। এভাবে ১২ বার ভাঙনের পর এখন আন্ধারমানিক গ্রামে এসে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জানান, পদ্মানদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড এরই মধ্যে ৪০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। ভাঙন রোধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন বলেন, হরিরামপুরে ৪কি.মি. স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা রয়েছে। যার ব্যয়ভার ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত রয়েছে। একনেকের বৈঠকে পাস হলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাজেট হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি হলেই হরিরামপুরবাসী ভাঙন থেকে স্থায়ী সমাধান পাবে।
Epic battles, insane graphics, and endless fun Lucky Cola