‘ইরানে অশান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল দায়ী’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাহশা আমিনি নামের এক নারীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভগুলো এক দশক ধরে ইব্রাহিম রাইসির শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভের সহিংস প্রতিক্রিয়ায় শঙ্কিত। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর তীব্র সহিংস দমনপীড়নের বিষয়ে গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন। এই বিক্ষোভকারীরা ন্যায় ও সর্বজনীন নীতির জন্য আহ্বান জানাচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ইরানি নারীদের পাশে দাঁড়াবে যারা তাদের সাহসিকতা দিয়ে বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাডেটদের একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি জানান, আমিনির মৃত্যু তাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু যেটা স্বাভাবিক নয় তা হলো কিছু লোক প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই রাস্তাকে বিপদজনক করে তুলেছে। বিক্ষোভে কুরআন পুড়িয়েছে, পর্দাহীন মহিলাদের হিজাব খুলে দিয়েছে এবং মসজিদ ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
আলী খামেনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশী শক্তিগুলো দাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিল কারণ তারা ইরানের সকল ক্ষেত্রে শক্তি অর্জন সহ্য করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, এই দাঙ্গা এবং নিরাপত্তাহীনতা আমেরিকা এবং দখলদার, মিথ্যা ইহুদিবাদী শাসক ইসরায়েলের পরিকল্পনা। এবং সেইসঙ্গে তাদের অর্থপ্রদানকারী এজেন্টদের মাধ্যমে, বিদেশে কিছু বিশ্বাসঘাতক ইরানীদের সহায়তায় এই বিক্ষোভ শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
From noob to pro, every win counts Lucky Cola