ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি

Share Now..


আসিফ কাজল, ঝিনাইদহঃ
পৌরসভার পর এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ। তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাসকে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত বেসরকারী ফলাফলে আনারস প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৪৭৮। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট। বেসরকারী প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। অন্যদিকে আনারস প্রতিক নিয়ে হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১২২ ভোট। শৈলকুপায় চশমা প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ১০৯ ভোট। কালীগঞ্জে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৭০ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, মহেশপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৯২ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮০ ভোট, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় চশমা পেয়েছে ৭৬ ভোট, আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট এবং কোটচাঁদপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৪১ ভোট আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট। এছাড়া ৬ টি উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ঝিনাইদহ সদরে মোরিদ মোস্তাকিম মুনীর, হরিণাকুন্ডুতে আলাউদ্দীন, শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার মৃধা, কোটচাঁদপুরে রাজিবুল কবীর ও মহেশপুরে লিটন মিয়া নির্বাচিত হন। কালীগঞ্জ উপজেলায় সদস্য পদে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও সেলিম মিয়া সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ফলাফল ড্র হয়েছে। সোমবার সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস ও এনজিও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত দুইটি সদস্য পদের বিপরীতে ১৩ জন ও সাধারণ ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ২২ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রে ১২টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৫৪ জন। তিনি আরো জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অধীনে এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করা ছিল। এছাড়া ৬টি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।

One thought on “ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *