কালীগঞ্জের পল্লীতে ধর্ষণের ঘটনায় একমাস অতিবাহিত হলেও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ
মিঠু মালিথা:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পল্লীতে ধর্ষণের ঘটনায় একমাস পেরিয়ে গেলোও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।ধর্ষকের ভয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।এলাকার প্রভাবশালী মহল মামলা উঠিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জেসমিন।জেসমিন জানায়-ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।মামলা নাং-১৩।মামলা করে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষিতা জেসমিন খাতুন।ধর্ষক নায়েব আলী এলাকার প্রভাবশালী হবার কারণে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে নায়েব আলী ও তার পরিবার।মামলা উঠিয়ে নিতে টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে নায়েব আলীশেখ ও তার ভাইয়েরা।ভুক্তভোগী জেসমিন খাতুন অভিযোগ করেন-ধর্ষক ও তার পরিবারের ভয়ে তিনি গ্রাম ছেড়ে বাবার বাড়ী গান্না এলাকায় পালিয়ে রয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়-কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ভাটপাড়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী জেসমিনকে ধর্ষণ করে একই এলাকার নায়েব আালী।এ ঘটনায় প্রথমে ধর্ষনের বিচার চেয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জেসমিন জেসমিন জানায়-গভীর রাত্রে একই গ্রামের নায়েব আলী জোরপূর্বক জেসমিন খাতুনকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে।লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়-নায়েব আলী প্রায়ই জেসমিনকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়।জেসমিন বিয়েতে রাজী না হলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।এই ঘটনায় ভাটপাড়া গ্রামে শালিসি- বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনার মন গড়া সংবাদ পরিবেশনে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।তবে নানা নাটকীয়তার পর থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।একই সাথে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সাড়াশি অভিযান দিচ্ছে পুলিশ।তবে ঘটনার একমাস অতিবাহিত হলেও এখনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি।যে কারণে ধর্ষিতা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।এ ঘটনায় স্হানীয় চেয়ারম্যান ওহিদুল ইসলাম ওদু জানান- ধর্ষনের ঘটনায় আমার নিকট একটি অভিযোগ এসেছিলো।যেহেতু ধর্ষণের বিচার ইউনিয়ন পরিষদ করতে পারেনা।সে কারণে আমি থানায় যাবার পরমর্শ দিয়েছি।এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায়-একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জেসমিন।ইতিমধ্যে মামলাটি গ্রহন করেছে পুলিশ।কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লা জানান-আইনগত ভাবেই বিষয়টি তদন্ত করবে পুলিশ।তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান-ধর্ষনের রিপোর্ট আসলেই চার্জশীট প্রেরণ করবে পুলিশ।
Ready for action? Dive into the hottest online game Lucky Cola