পাকিস্তানে ডিপথেরিয়ায় ৩৯ শিশুর মৃত্যু

Share Now..


পাকিস্তানে ডিপথেরিয়ার কারণে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফকে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে নিয়মিত টিকাদানের হার বৃদ্ধি করার পরেও অন্তত ৩৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কিশোরও রয়েছে। এদিকে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে দেশে রোগ প্রতিরোধক সিরাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ডব্লিউএইচও।শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ও অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরামের অভাবের কারণে ডিপথেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। বিশ্বব্যাপী রোগ নির্মূল করার জন্য খুব অল্প পরিমাণে অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরাম তৈরি করা হয়।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

দেশটির চিকিত্সক সম্প্রদায় এ পরিস্থিতির জন্য ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারকে দায়ী করেছে। তারা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপথেরিয়া মানবদেহের শ্বসনতন্ত্রে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ। মানবদেহের শ্বসনতন্ত্র বা ত্বক ও চোখের কনজাংটিভা এই রোগে আক্রান্ত হয়।

সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বা ত্বকে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এলে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সংক্রমণের ২ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ দেখা দেয়।

টিকার মাধ্যমে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধ করা যায়। ডিপথেরিয়ার টিকাকে ডিপিটি ভ্যাকসিন বলা হয়। এই টিকা দিলে শিশুর ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কারসহ বেশ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

2 thoughts on “পাকিস্তানে ডিপথেরিয়ায় ৩৯ শিশুর মৃত্যু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *