দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে গেলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলী

Share Now..


আসিফ কাজলঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে
ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অবশেষে প্রমানিত হয়েছে। তিনি মাঠ পর্যায়ে কর্মরত
পরিবার কল্যান সহকারীদের মিনি স্টোরের জন্য ক্রয়কৃত স্টিলের ট্রাঙ্ক কেনায় দুর্নীতি
করেছেন। অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু ও কেন তাকে চাকরী
থেকে বরখাস্তকরণ দন্ড প্রদান করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। গত ১১
জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল তার
দপ্তরের ৫৯.০০.০০০০.১১৭.২৭.০৯৪.২২.১৫ নং স্মারকে প্রেরিত এক অভিযোগনামা থেকে
এ তথ্য জানা গেছে। অভিযোগনামায় বলা হয়, আপনার উপর্যক্ত কর্মকান্ড প্রাথমিক
তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। আপনার কার্যকলাপ সরকারী কর্মচারীবিধিমালা ২০১৮ এর
বিধি ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) অনুযায়ী ‘অসাদাচারণ’ ও দুর্নীতির দায়ে দোষি হিসেবে গন্য
এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেহেতু আপনার এহেন কার্যকলাপের জন্য আপনাকে
সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও ৩ (ঘ)
মোতাবেক ‘অসাদাচারণ’ ও ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো। উক্ত
অবিযোগের দায়ে কেন আপনাকে উল্লেখিত বিধিমালা ৪(৩)(ঘ) বিধি মোতাবেক
সরকারী চাকরী মোতাবেক বরখাস্তকরণ দন্ড প্রদান করা হবে না বা উক্ত বিধিমালার
আওতায় অন্য কোন উপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না, একই বিধিমালার ৭(১)(খ) বিধি
মোতাবেক এ অভিযোগনামা প্রাপ্তির দশ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ভাবে তার কারণ
দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। আত্মপক্ষ সমর্থনে আপনি ব্যক্তিগত শুনানীতে
আগ্রহী কিনা তাও আপনার লিখিত জবাবে উল্লেখ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা
হলো।

897 thoughts on “দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে গেলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *