ভূমিকম্পে বাঁচলেও আগুনে পুড়ে পরিবারের ৭ সদস্যের মৃত্যু
গত সপ্তাহের শক্তিশালী ভূমিকম্প থেকে বাঁচার পর তুরস্কের কোনিয়া সার শহরে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ শিশু ও তাদের বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই বাড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের পরিবারটি পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া থেকে এসে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর নুরদাগিতে বসবাস করছিল। তারা ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহর ছেড়ে কনিয়ায় আশ্রয় নেয়। ভূমিকম্পের পর কয়েক লাখ শরণার্থীর মতো সিরিয়ান পরিবারটি তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কোনিয়ায় এসেছিল।
পরিবারটির প্রতিবেশী মুহসিন কাকির বলেন, ‘আমরা ঘরে আগুন দেখেছি। কিন্তু, আমরা তা নেভাতে পারিনি। জানালা দিয়েই একটি মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।’
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, নিহত পাঁচ শিশুর বয়স ৪ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। তবে উদ্ধার হওয়া মেয়েটি একই পরিবারের কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তুরস্কে প্রায় ৪ মিলিয়ন সিরিয়ান রয়েছেন। তাদের অনেকেই গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বাস করতেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। কিছুক্ষণ পর আবার ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। উভয় দেশেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজারেরও বেশি। আহত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।
তবে জাতিসংঘের অনুমান, মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ আড়াই লাখের বেশি শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন। অলৌকিকভাবে, উদ্ধার কর্মীরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে জীবিত মানুষকে খুঁজে পাচ্ছেন।